Pages

নারী দেহের যৌনাঙ্গ

নারী দেহের যৌনাঙ্গ

নারীদেহের যৌন অঙ্গ সমূহের পরিচয় স্বতন্ত্র ধরনের। মেয়েদের যৌন স্থানগুলি পুরুষের চেয়ে অনেক বেশি জটিল এবং সূক্ষ্ম। বিভিন্ন অবস্থাতে সেগুলির নানার রকমের বৈচিত্র ঘটে থাকে। মেয়েদের অঙ্গাদি মুদ্রিতকলি কুমারী অবস্থায় থাকে একরকম, সদ্য প্রস্ফুটিত যৌবন অবস্থায় থাকে একরকম, সন্তানগর্ভা অবস্থায় থাকে একরকম, সন্তানবর্তী প্রসূত্রি অবস্থায় থাকে একরকম, আর নির্বাপিত ক্রিয়াবিবর্জিত অবস্থায় থাকে একরকম। এই পাঁচরকম বিভিন্ন অবস্থায় মধ্যে যৌবনে গমন ও তার পরবর্তী অবস্থায় আমাদের বিশেষ ভাবে আলোচ্য। মেয়েদের যৌন অঙ্গগুলিকে মোট দুই ভাগে ভাগ করা যায়। তার মধ্যে কতকগুলি বাইরে আছে বলে প্রকাশ্য। আর কতকগুলি ভিতরে আছে বলে অপ্রকাশ্য। বাইরের দিকে যা রয়েছে তাও দাঁড়ানো অবস্থায় বাইরের থেকে দেখা যায় না। শুধু তলপেটের নিচে দেখা যায় মাত্র, একটু তিনকোণ স্থান, যার নাম কামাদ্রি। এর নিচেই লুকিয়ে রয়েছে যনির গুহা। উত্তান অবস্থায় অর্থাৎ চিৎ হয়ে শুয়ে জানু দুটি ফাঁক করলে তবেই তার প্রবেশদ্বার দেখা যায়। এই অবস্থায় দেখলে প্রথমেই নজরে পড়ে কুঁচকি দুটির মধ্যবর্তী স্থানে কোষার মতো উঁচু উঁচু দুটি মাংসমেদের স্তবক, নরম চামড়া দিয়ে ঢাকা, এবং সেই দুটির মাঝখানে লম্বা একটি ফাটল। ফাটলের অন্তরালে কি আছে, মাংস স্তবক দুটি দুপাশ থেকে ফাঁক করে না ধরলে তা দেখা যাবে না। এই স্তবকের চামড়ার উপর ইতস্তত অল্প বিস্তর লোম গজিয়ে আছে। প্রবেশ পথের গোড়াতেই ফটকের দুটি বদ্ধ পাল্লার মতো এই লোমযুক্ত স্তবক দুটি ভিতরের দৃশ্যকে আড়াল করে আছে। এর ইংরেজী নাম লেবিয়া মেজরা, বাংলায় বলা যেতে পারে বড় দরজা। এই বড় দরজা দুটি ফাঁক করে ধরলে তার পিছনেই দেখা যাবে দুটি লেবিয়া মাইনরা, অর্থাৎ ছোট দরজা। এই দুটি বড় দরজার চেয়ে অনেক নরম চামড়ার তৈরি এবং দেখতেও পাতলা। আসলে বড় দরজা চামড়া দিয়ে ঢাকা, কিন্তু এই দুটি ঝিল্লী দিয়ে ঢাকা। এই দুই জোড়া দরজা পিছনের দিকে অর্থাৎ গুহ্যদেশের দিকে খানিকটা পর্যন্ত গিয়ে সেখানকার পাতলা চামড়াতে এসে মিশে গেছে। এইখানের হলো যোনির শেষ প্রান্ত। একে বলে মূলাধারপীঠ। এরপর থেকে আরো পিছনে মলদ্বার পর্যন্ত যে চামড়ায় ঢাকা স্থানটুকু, তার নাম মূলাধার। শুধু কুমারী অবস্থাতেই ঐ মূলাধারপীঠ স্পষ্ট সীমারেখা মতো দেখা যায়। বহুবার সঙ্গমের পর কিংবা সন্তান প্রসবের পর সেটি মূলাধারের উপরের চামড়ারসঙ্গে মিলিয়ে যায়। সুমুখ দিকে খানিকটা এসেও ছোট দরজা দুটি খুব পাতলা হয়ে এক জায়গাতে মিলিয়ে গেছে। ঠিক তার সামনেই প্রায় হাড়ের কাছাকাছি জায়গাতে উঁচু হয়ে আছে। পুরুষের লিঙ্গের অনুকরণে খুব ছোট একটি বোটাঁর মতো ক্লিটরিস, যাকে সংস্কৃতে বলে ভগাস্কুর, অথবা শিশ্নিকা। এটি পুরুষের শিশ্নের অনুকরণে তৈরি বলেই ওর ঐ নাম। পুরুষের লিঙ্গের মুন্ডের উপর যেমন একটি ছত্র আছে, এর উপরেও তেমনি একটি ছত্র একে ঘিরে আছে। অনেক সময় এই অঙ্কুরটি এতই ছোট থাকে যে ছত্র ভালো করে ফাঁক না করলে তা মোটে দেখাই যায় না। কিন্তু দেখা না গেলেও আঙ্গুল দিয়ে নাড়লে এটিকে শক্ত একটি বোঁটার মতো স্পষ্ট টের পাওয়া যায়। এই সামান্য অঙ্কুরের যৌন স্পর্শসুখ অনুভব করবার শক্তি অনেক বেশি, এমন কি পুরুষের লিঙ্গমুন্দের চেয়েও বেশি। কোনো সামান্যমাত্র মৃদু স্পর্শে এটি উত্তেজিত হয়ে কঠিন হয়ে উঠে। বিস্তর সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম নার্ভের অনুভূতিসম্পন্ন তন্ত এখানে এসে জড়ো হয়েছে। পুরুষ লিঙ্গের মতো স্পঞ্জজাতীয় পদার্থ দিয়ে এটিও তৈরি, এবং উত্তেজিত হলে এটিও রক্তাধিক্যের ফলে সুপ্ত অবস্থা থেকে খাড়া হয়ে জেগে ওঠে। যদিও আকারে খুবই ছোট, কিন্তু যৌন সুখ অনুভব করবার এইটিই হলো নারীদেহের প্রধান কামকেন্দ্র। সঙ্গমের সময় এইটির উপর নিয়ত ঘর্ষণ লাগতে থাকে। তখন ওরই উত্তেজনাতে সর্ব শরীরে যে ঘন ঘন রোমাঞ্চ উপস্থিত হয়, তাকে বলে বেপথু। ওর ছত্রটি তখন আপনাআপনি ছড়িয়ে ফাঁক হয়ে গিয়ে অঙ্কুরের মুখটি উত্তেজিত অবস্থায় আরো ঘর্ষণ লাভের জন্য উন্মুখ হয়ে থাকে। ঐ অঙ্কুর এবং তার চারপাশের ছত্রের ব্যবধানে জামার পকেটের কোনগুলির মতো নানারকম খাঁজ করা আছে। ঐ সব খাজের মধ্যে সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম গ্ল্যান্ড থেকে একরকম তৈলাক্ত স্বেদবস্ত নির্গত হয়। তারও ইংরেজী নাম স্মেগমা, যে জিনিসটির কথা পুরুষ লিঙ্গের বেলাতেও একবার বলা হয়েছে। সদ্যনিঃসৃত তাজা অবস্থায় এর একটা মিষ্ট মিষ্ট সিঘ্রাণ আছে। স্ত্রীলোকের সারা অঙ্গে যে বিশেষ একরকম সুগন্ধ টের পাওয়া যায়, যা অনেক সময় পুরুষদের মনে উম্মাদনা আনে, তা সচরাচর এর থেকেই জম্মায়। আমরা যে পদ্মিনী শঙ্খিণী প্রভৃতি নারীদের এক একরকম দেহগন্ধের বর্ণনা শুনে থাকি, তার সঙ্গে এই জিনিসের গন্ধেরই সম্ভবত বিশেষ সম্পর্ক আছে। কিন্তু ঐ স্মেগমার তাজা অবস্থাতেই তার সেই মিষ্ট সদগন্ধটুকু থাকে। স্মেগমা শুকিয়ে বাসি হয়ে লেগে থাকলে দু-একদিনের মধ্যেই সেটা পচে যায় এবং তখন তার থেকে তীব্র একটা দুর্গন্ধ বেরোতে থাকে। শুধু তাই নয়, মেয়েদের মূত্রত্যাগের পরে সেই মূত্র ঢুকে গিএ তারও কিছু কিছু অংশ ঐ পকেটের মতো ঘুঁজি