Pages

ভগাস্কুরের আজানা গোপন তথ্য


ভগাস্কুর



সুমুক দিয়ে খানিকটা এসেও ছোট দরজা দুটি খুব পাতলা হয়ে এক জায়গাতে মিলিয়ে গেছে। ঠিক তার উপরেই প্রায় হাতের কাছাকাছি জায়গাতে উচু হয়ে আছে পুরুষের লিঙ্গের অনুকরণের খুব ছোট একটা বোটার মতো ক্লিটরিস থাকে, সংস্কৃতে বলে ভগাংকুর অথবা শিশ্লিকা। পুরুষের লিঙ্গের অনুকরণের তৈরি বলেই ওর উপরেই তেমনি এক চামড়ার ছত্র এ -কে ঘিরে আছে। অনেক সময় এই অঙ্কুরটি এতই ছোট থাকে যে ভালো করে না করলে তা মোটেই দেখা যায় না। কিন্তু দেখানা গেলেও আঙ্গুল দিয়ে নাড়ালে এটি শক্ত একটি বোটার মতো স্পষ্ট টের পাওয়া যায়। এই সামান্য অঙ্গুরের যৌন স্পর্শ সুখ অনুভব করবার শক্তি অনেক বেশী , এমনকি পুরুষের লিঙ্গমুন্ডের চেয়েও বেশী। সামান্য মাত্র মৃদু স্পর্শে এটি উত্তেজিত হয়ে কঠিন হয়ে উঠে। বিস্তর সুক্ষ্ণ -সুক্ষ্ণ নার্ভের অনুভূতি পধান যন্ত্র এখানে এসে জড়ো হয়েছে। পুরুষ লিঙ্গের মতো স্পঞ্জ জাতীয় পদার্থ দিয়ে এটি তৈরি । এবং উত্তেজিত হলে এটিও তেমনি রক্তাধিক্যের ফলে সুপ্ত অবস্থা থেকে কঠিন হয়ে জেগে উঠে। যদিও আকারে খুবই ছোট কিন্তু যৌন সুখ অনুভব করার পক্ষে এইটিই হলো নারী দেহের প্রধান স্থান। সঙ্গমের সময় এটির উপরে ঘর্ষণ লাগলে তখন এই উত্তেজনাতে সর্ব শরীরের যে – ঘন ঘন রোমাঞ্চ উপথিত হয়, তাকে বলে স্পেথ। ওর চর্ম ছত্রটি তখন আপনা আপনি ফাঁক হয়ে যাওয়াতে অংগুরের মুণ্ডটি উত্তেজিত অবস্থায় আরও ঘর্ষণ লাভের সুযোগ পায়। ঐ অংকুরে এবং তার চারিপাশের ছত্রের ব্যবধানে জামার পকেটের মতো কোষগুলির নানারকম খাজ আছে। ঐ সব খাজের মধ্য সুক্ষ্ণ- সুক্ষ গ্রন্থি থেকে এক রকম তৈলাক্ত শ্বেত বস্ত নির্গত হয়। তার ইংরেজী নাম শ্লেগমা – যে জিনিসটির কথা পুরুষ লিঙ্গের বেলাতে একবার বলা হয়েছে। সদ্য নিঃসৃত তাজা অবস্থায় এর একটা মিষ্টি ধরণের সুঘ্রাণ আছে! স্ত্রী লোকের সারা অঙ্গে যে বিশেষ এক রকমের সুগন্ধ টের পাওয়া যায় , তাযা অনেক সময় পুরুষদের উম্নাদনা আনে, যাহা সচরাচর এর থেকেই জন্মায়। আমরা যে পদ্নিনী, শঙ্খিনী প্রভৃতি নারীদের এক রকম দেহ গন্ধের বর্ণনা শুনে থাকি, তার সঙ্গে এই জিনিসের গন্ধেরই সম্ভবত বিশেষ সম্পর্ক আছে। কিন্তু ঐ শ্লেগমা শুকিয়ে বাসি হয়ে জড়িয়েই থাকলে দু একদিনের মধ্যে সেটা পচে যায় এবং তখন তা থেকে তীব্র একটা দুর্গন্ধ বেরোতে থাকে। শুধু তাই মেয়েদের মুত্রত্যাগের পরে সেই মুত্র ওখানে ঢুকে যায় এবং শ্লেগমার সঙ্গে মিশে গিয়ে সেটিকে আরও বেশী দুর্গন্ধ যুক্ত করে। মেয়েদের মধ্যে অনেকে মনে করতে পারে যে অঙ্গটি সর্বক্ষণ ঢাকাই রয়েছে। সেখানে অমন একটি দুর্গন্ধ থাকলে ও বিশেষ ক্ষতি নেই। কিন্তু ওর দ্বারা অনিষ্ট ঘটবারও যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। এইটা বুজে ঐস্থানের প্রত্যেকটি অংশ সর্বদাই পরিস্কার রাখা দরকার। যৌননোদগমের আগেই মেয়েদের প্রত্যেককে এ সম্বন্ধে বিশেষ করে শখিয়ে দেওয়া উচিৎ।