Pages

পুরুষাঙ্গ বিষয়ে কিছু কথা


পুরুষাঙ্গ বিষয়ে কিছু কথা

মানুষের শরীরে যতগুলো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ রয়েছে, তন্মধ্যে এটিও একটি অঙ্গ। পুরুষেরা প্রাপ্তবয়সে পৌঁছার পর তাদের পুরুষাঙ্গে এক প্রকার শক্তি আসে। যার কারণে বিশেষ মুহূর্তে তা শক্ত ও মজবুত হয়। যখন শক্ত ও মজবুত হয়, তখন তা পূর্বের তুলনায় অনেকটা দীর্ঘ হয়ে যায়। সহবাসের সময় পুরুষাঙ্গ দীর্ঘ হওয়ার ফায়েদা হল, এর দ্বারা পুরুষের বীর্য নারীর রেহেমের ভিতরে চলে যায় এবং সে বীর্যেই সন্তান জম্ম হয়ে থাকে। পুরুষদের এই বিশেষ অঙ্গে কোনো প্রকার হাড্ডি নেই। কিন্তু যখন শক্ত ও মজবুত হয়, তখন হাড্ডির মতো শক্ত হয়ে যায়। এটা শুধুমাত্র গোশত ও রগ-শিরা দ্বারা প্রস্তুতকৃত। এ অঙ্গের বিশেষ বৈশিষ্ট হল, এর দ্বারা যৌনসম্ভোগের কাজ সমাধা করা যায়। অর্থাৎ বীর্য ভাণ্ডারের স্থান পরিবর্তনের কাজটি স্বাদ ও প্রফুল্লতার সাথে সাথে সম্পাদন করে থাকে। জ্ঞাতব্য বিষয় হলঃ পুরুষাঙ্গের প্রসারতার শক্তি অন্তর থেকে হয়ে থাকে। আর তাঁর উপলদ্ধি হয় ধমনির দ্বারা। তাঁর খাবার যোগান দেয় কলিজা। কলিজা ও মস্তিক থেকে পরস্পর মিলনের ইচ্ছে শক্তি জাগে। বেশিরভাগ সময় পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্যতা পাশাপাশি ছয়টি আঙ্গুল মিলালে যে পরিমাণ দৈর্ঘ্য হয়, সে পরিমাণ লম্বা বা দীর্ঘ হয়ে থাকে। নারীদের গুপ্তাঙ্গের দৈর্ঘ্যতাও ঐ পরিমাণই হয়ে থাকে। যদি কারো পুরুষাঙ্গ লম্বায় ঐ পরিমাণ না হয়, যার কারণে সহবাসের সময় তাঁর লিঙ্গ বাচ্ছাদানি পর্যন্ত পৌঁছে না এবং সহবাসে স্ত্রী পূর্ণাঙ্গ তৃপ্তিও পায় না, তাহলে তাকে সহবাসের সময় ভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়। আর সেটি, তাকে তাঁর যৌনাঙ্গ বৃদ্ধির ওষুধ ব্যবহার করতে হবে, নতুবা সহবাসের সময় স্ত্রীর নিতম্বের নিচে বালিশ বা বালিশের মতো উঁচু জিনিস রেখে সহবাস করতে হবে। এতে স্ত্রী পরিপূর্ণ তৃপ্তি অনুভব করতে পারবে। এর দ্বারা কারো মনে কোনো প্রকার কষ্ট থাকবে না। যৌনাঙ্গের উত্তেজনা উপলদ্ধি অনেক ভাবেই হতে পারে পুরুষাঙ্গের লাল বর্ণের শিরা, কালো বর্ণের শিরাগুলো উত্তেজনায় ছটফট করতে থাকে। পুরুষাঙ্গের প্রসারতা, শক্তি ও অনুভূতি শিরা ও ধমনী বেশি হওয়ার কারণে হয়ে থাকে। পুরুষাঙ্গে প্রথম অংশ তথা মাথা দেখতে খোসাবিহীন সুপারির মতো গোলাকার। সেজন্য তাকে সুপারীও বলা হয়ে থাকে। পুরুষদের শারীরিক গঠন বৃদ্ধি পাওয়ার সময় পর্যন্ত পুরুষাঙ্গ লম্বা ও মোটা হয়ে থাকে। আর তা হলে ত্রিশ থেকে পয়ত্রিশ বছর পর্যন্ত। এর পর মানুষদের যদিও গঠন বৃদ্ধি পায় কিন্তু পুরুষাঙ্গ বৃদ্ধি পায় না। তবে মোটা ও গোল হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। আর এর জন্য বিভিন্ন ফর্মুলা রয়েছে। পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্যতা তিন ধরনের হয়ে থাকে। যথাঃ ১। ছয় থেকে সাত আঙ্গুল পরিমাণ। ২। নয় আঙ্গুল পরিমাণ। ৩। বারো আঙুল পরিমাণ। সাধারণত লোকদের ছয় থেকে সাত আঙ্গুল পুরুষাঙ্গ দীর্ঘ হয়ে থাকে। হ্যাণ্ডস্যাম ও মজবুত ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকের নয় আঙ্গুল পরিমাণ পুরুষাঙ্গ দীর্ঘ হয়। শক্তিশালী ও লম্বা লোকদের পুরুষাঙ্গ বারো আঙ্গুল পর্যন্ত দীর্ঘ হতে পারে। তবে এ ধরণের লোক সংখ্যায় একেবারেই কম। যাদের পুরুষাঙ্গ বার আঙ্গুল পরিমাণ লম্বা এসব পুরুষাঙ্গ ভালো নয়। সাধারণত এসব পুরুষাঙ্গে শক্তি কম থাকে। বিশেষ সময়ে তেমন একটা মজবুত এ শক্ত হয় না। এদের সাথে যেসব নারীর সহবাস হবে, দীর্ঘতাঁর দিক দিয়ে তাদেরও যথেষ্ট লম্বা হতে হবে। অন্যথায় নারীরা তাকে সহ্য করতে পারবে না। স্বামী যেমন স্ত্রীও তেমন হতে হবে। এমন যদি হয় যে, স্ত্রী বেশ লম্বা কিন্তু স্বামী একেবারে বেটে, তাহলেও বেমানান। আবার যদি এমন হয় যে, স্বামী অনেক লম্বা কিন্তু স্ত্রী স্বামীর কোমর বরাবর লম্বা, তাহলেও বেমানান । এদের মধ্যে কেউ সহবাসে পূর্ণাঙ্গ তৃপ্তি লাভ করতে পারবে না। এজন্য বিবাহের সময় স্বামী-স্ত্রীর উচ্চতা খেয়াল রাখতে হবে। আমাদের দেশের পুরুষদের পুরুষাঙ্গ সাধারণত ছয় থেকে সাত আঙ্গুল পরিমাণ লম্বা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের মেয়েদের যৌন তৃপ্তি দেয়ার জন্য ছয় থেকে সাত আঙ্গুল পরিমাণ পুরুষাঙ্গ হলেই যথেষ্ট। এসব ক্ষেত্রে পুরুষ নারীর মিল না হলে, কেউ পূর্ণাঙ্গ তৃপ্তি পায় না। বিশেষ করে নারীরা যদি স্বামী থেকে পূর্ণাঙ্গ তৃপ্তি না পায়, তাহলে তাকে যত কিছুই দেওয়া হোক না কেন, তাঁর সব চাহিদা [এটা ছাড়া] পূরণ করা হোক না কেন, পৃথিবীর রাজত্ব তাঁর হতে দিলেও সে সন্তুষ্ট হবে না। দুনিয়ায় সব কিছু দিলেও সে মন থেকে নিবে না। দুনিয়া সব কিছু, প্রয়োজনের অধিক টাকা পয়সা দিলেও আসল জিনিসটা মন মতো দিতে পারা গেল না, তাহলে মনে রাখতে হবে [স্ত্রীর মনে হবে] তাকে কিছুই দেওয়া হয় নি। আল্লাহ তাআলা পুরুষের এ বিশেষ অঙ্গটি যে কাজের জন্য বানিয়েছেন, এর দ্বারা যদি সে কাজটি পূর্ণাঙ্গ ভাবে না হয়, তাহলে পুরুষের পুরুষত্ব কোথায়? অতএব এ বিষয়ে যতেষ্ট যত্মবান হতে হবে। দুনিয়ার জীবনে স্বর্গীয় সুখ অনূভব করতে চাইলে এ বিষয়ে পরিপূর্ণ জ্ঞান এবং পূর্ণাঙ্গ আনন্দ ও তৃপ্তি পাওয়ার জন্য সব রকম চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।