Pages

১০০% অনলাইন ইনকাম


 আমার ১০ দিনের 

adf.ly payment এর চিত্র ফলাফল

১০০% অনলাইন ইনকাম ব্যানারে ক্লিক করুন এবং সাইন আপ করুন ।
তার পর আমার সাথে যোগাযোগ করুন আপনি ।
আমার কাছে গোপন তথ্য আছে।
০১৭৪৭৭২১৫৬৯
 N.B
 আমার এই লিংকে দিয়া না করলে সিক্রেট জিনিস দিব না ।
 1



Get paid to share your links!

    2
3



 এই কাজ করার পর  join  বাটনে ক্লিক করুন তার পর নিছের সবি আসবে 





তার পর নিচের  ছবির মত আসবে
এবং  নাম্বার গুল কপি করুন

এখন আপনার
 account
করা শেষ
না বুঝলে আমি আছি।
আজকে আর না।

০১৭৪৭৭২১৫৬৯
                                                                        

এক্স - সেক্স স্টাইল উপায় জেনে নিন

এক্স - সেক্স স্টাইল উপায় জেনে নিন



   

নারীর যোনি


নারীর যোনি

পুরুষদের পুরুষাঙ্গ যেমন ছয়, নয় এবং বারো আঙ্গুল লম্বা হতে পারে। ঠিক নারীর যোনি ও ছয়, নয় ও বারো আঙ্গুল গভীর হতে পারে । কিন্তু প্রয়োজন অনুযায়ী বা উত্তেজনায় এদের যোনির ব্যাস মাংসপেশীর ক্রিয়ার দরুন কম-বেশি হতে পারে। পুরুষের পুরুষাঙ্গ এবং নারীর যৌনাঙ্গ যদি সমান ব্যাসবিশিষ্ট ও দৈর্ঘ্য যুক্ত হয়, তাহলে সহবাসের সময় উওভয়ে বেশ আনন্দ পেতে পারে। একে বলে পূর্ণ মিলন বা সমআনন্দ। মেয়েদের যোনি ৩ প্রকারের হয়। এবং প্রকার অনুযায়ী মেয়েদের চরিত্রও ভিন্ন হয়। মেয়েদের যোনি প্রকার অনুযায়ী তাদের যৌন চাহিদাও ভিন্ন হয়। এমন যোনি প্রকার অনুযায়ী যোনির গভীরতাও হয় ভিন্ন। আসুন আমরা জানি যোনি প্রকার গুলো নাম। ১ হরিণী যোনী । ২ ঘোটকী যোনী । ৩ হস্তিনী যোনী । ১। হরিণী যোনী মেয়েঃ হরিণী যোনি ধারী মেয়েরা হয় সব চেয়ে ভালো। এরা খাবার খায় স্বল্প, এদের ঘুম হয় স্বল্প। এরা সহবাসে অল্পতই সন্তুষ্ট হয়ে যায়। এদের যোনির গভীরতা ৯ আঙ্গুল পর্যন্ত হয়ে থাকে। ২। ঘোটকী যোনী মেয়েঃ এরা পুরুষদের সঙ্গে সহবাস করা এদের খুব প্রিয়। ৩। হস্তিনী যোনী মেয়েঃ এদের কাম শক্তি অধিক প্রবল। এরা এক পুরষ দ্বারা সন্তুষ্টি হয়। এদের যোনি বেশ প্রশস্ত হয় প্রয়োজন অনুযায়ী যেকোন সাইজের পুরুষাঙ্গের চাপ নিতে সক্ষম হয়।

নারীর যৌনাঙ্গের প্রকারভেদ


নারীর যৌনাঙ্গের প্রকারভেদ

যৌনবিদগণ পুরুষাঙ্গের শ্রেণীবিন্যাস করার সাথে সাথে নারীদের যৌনাঙ্গের শ্রেণী বিন্যাসও করেছেন। নারীদের যৌনাঙ্গ সাধারণত তিনভাগে বিভক্ত। যথাঃ ১। হরিণী যোনী বা যৌনাঙ্গ। ২ ঘোটকী যোনী বা যৌনাঙ্গ। ৩। হস্তিনী যোনী বা যৌনাঙ্গ। বিস্তারিত ভাবে নীচে দেয়া হলঃ- ১। হরিণী যোনী বা যৌনাঙ্গ। এদের চটুল চক্ষুতে লাল রেখা থাকে। তাদের মুখ পদ্মের মত প্রফুল্ল, বাবলা জাতীয় গাছের ফুলের মতো তাদের চামড়া কোমল হয়। এদের স্তনও হয় কদম গাছের ফুলের মতো গোলাকার ও নরম। গায়ের চামড়া হয় চম্পা পুস্পের মতো শ্বেতবর্ণ । তাদের নাসিকা হয় টিয়া পাখীর নাসিকার ন্যায় তীক্ষ্ণ ও লম্বা। তাদের হাত হয় মুক্তার ন্যায়। রাজহংসীর মতো হয় তাদের চলন। কন্ঠস্বর হয় কোকিলের ন্যায় সুমধুর। হরিণীর মতো হয় গ্রীবা। তারা গুরুজন, ইমাম, শিক্ষক ও আল্লাহ ভক্ত। সাদা পোশাক পরিধান করতে বেশ আগ্রহী। খাবার খেয়ে থাকে পরিমানে সামান্য।তবে তারা বিলাস বর্তী হয় না। তথাপী অনুভূতিতে বেশ পারদর্শিনী । কথা খুব কম বলে এবং নিদ্রা তুলনামূলক কম। তাদের যোনি ছ্য় আঙ্গুল পরিমাণ গভীর এবং পদ্মগন্ধা। ২। ঘোটকী যোনী বা যৌনাঙ্গ। কৃশা ও স্থুলকায় হতে পারে, কিন্তু দীর্ঘকায় বহুবর্ণ বিশিষ্ট বেশভূষা এদের বেশ প্রিয় জিনিস। এরা ধৈর্যহীনা । এদের স্তন হয় শিথিল। চক্ষু হয় কাপর্দবা শ্যাম বর্ণ কিন্তু বাঁকা চীখে কটাক্ষ মারতে খুব পটু। এদের চলন বেশ দ্রুত। পুরুষের সাথে সহবাসে বেশ প্রিয় এবং সহবাসের সময় পুরুষকে দংশন, আঁচড় এবং চিমটিতে বড়ই অগ্রসর। সুযোগ পেলে মদও পান করে। এদের কন্ঠস্বর কর্কশ ও চিৎকার প্রবণ। লম্বা লম্বা দাত এবং খাড়া খাড়া চুলই এদের বিশেষত্ব। ঘুমের দিকে দিয়ে বেশ পটু। এদের যোনি হয় নয় আঙ্গুল পরিমাণ গভীর এবং মৎস্যাগন্ধা। ৩। হস্তিনী যোনী বা যৌনাঙ্গ এদের গতি ভঙ্গী হস্তীনির মতো। এদের আঙ্গুল হয় মাংসল এবং বাঁকা বাঁকা। গ্রীবা হ্রস্ব এবং মাংসল হয়ে থাকে। ওষ্ঠাধর হয় পুরু পুরু। নিতম্ব বা পাছা বেশ চর্বিযুক্ত। খাওয়ার বেলায় অনেককে হার মানিয়ে দেয়। এদের নিদ্রা হস্তিনীর মতই। এদের শরীরে বেশ লোম থাকতে দেখা যায়। আচার ব্যবহার হয় নির্লজ্জ। পুরুষের সাথে সহবাসে সর্বদাই প্রস্তুত থাকে। তবে বেশিরভাগই দেখা যায় কেবল অর্থের বিনিময়ে সহবাস করে থাকে। এদের যোনি বেশ প্রশস্ত এবং প্রয়োজন অনুযায়ী যে কোনো ধরণের পুরুষাঙ্গ ধারণ করতে সক্ষম।

স্ত্রী-প্রজননতন্ত্রের আভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলোর নাম


স্ত্রী-প্রজননতন্ত্রের আভ্যন্তরীণ অঙ্গগুলোর নাম


১। ফান্ডাস। ২। জরায়ু দেহ। ৩। জরায়ু-গ্রীবা। ৪। জরায়ু মুখ। ৫। যোনীনালী। ৬। যোনীপথ। ৭। বৃহদৌষ্ঠ। ৮। ক্ষুদ্রৌষ্ঠ । ৯। মূত্রাশয়। ১০। ভগাস্কুর । ১১। মলদ্বার। ১২। আভ্যন্তরীণ যৌনী-প্রাচীর। ১৩। বাইরের যোনী-প্রাচীর।

কুমারী মেয়েলোকের সতীচ্ছদ হয় কিনা?


কুমারী মেয়েলোকের সতীচ্ছদ হয় কিনা?

মেয়েদের সতীচ্ছদ পাতলা হলে যৌনমিলন ছাড়াও অন্য কোনো কারণেও তা ছিড়ে যেতে পারে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে ও এ রকম অবশা ঘটতে দেখা যায় যে, মেয়েদের বাল্যকালে বা কৈশোর জীবনে দৌঁড়াদৌড়ি , লাফালাফি, সাঁতার কাতা, উঁচু জায়গা হতে নিচে পড়ে যাওয়া ইত্যাদি কারণে সতীচ্ছদ ছিড়ে যেতে পারে। অনেক পুরুষেরা এই রকম ধারণা পোষণ করে যে কুমারী মেয়েদের সতীচ্ছদ অক্ষুন্ন থাকবে। এ রকম ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। এতে অনেক ক্ষেত্রে দাম্পত্য জীবনে কলহ হতে পারে। পুরুষের অগ্রচ্ছাদার সাথে মেয়েলোকের সতীচ্ছদের মধ্যে কিছুটা সামঞ্জস্য আছে। অনেক ছেলেদের জম্ম থেকে দেখা যায়, তাদের অগ্রচ্ছদা একেবারেই মুক্ত। কোনো রকম চামড়ার আবরণ নেই। এটা প্রাকৃতিক ঘটনা। বস্তুতঃ এটা আল্লাহর অসীম কুদরতের নমুনা। ইসলামী সমাজে এটাকে মুসলমানি সুন্নত বলা হয়ে থাকে। বুঝা গেল যে, মেয়েদের বেলায়ও এই প্রকারে ছিন্ন সতীচ্ছদ নিয়ে ভূমিষ্ঠ হওয়া অসম্ভব নয়। অর্থাৎ সতীচ্ছদ ছাড়াও মেয়েরা জম্মগ্রহণ করে। এ নিয়ে তর্ক – বিতর্ক করা উচিৎ নয়। স্ত্রীলোকের যৌনাঙ্গ সম্পর্কে তাঁর বাহ্যিক রূপের মোটামুটি পরিচয়ের পর এখন আভ্যন্তরীন বিষয়ে আলোচনা করা হবে। মেয়েলোকের যৌনাঙ্গের ক্ষুদ্রৌষ্ঠ আর মুত্রনালীর ঠিক মাঝখানে আধা ইঞ্চি ব্যাস যুক্ত গোলাকার সিমের বিচির মত দুটি গ্রন্থি দেখা যায়, এই গ্রন্থি হতে দুটি সরু নল বের হয়ে যোনী মুখের নিকট এসে শেষ হয়েছে। এই গ্রন্থি দুটি সান্দনী গ্রন্থি। এই গ্রন্থি হতে সর্বদা এক প্রকার আঠা আঠা পিচ্ছল রস বের হতে থাকে। স্ত্রীলোকের কামনা বাসনার সময় এই রস অধিক পরিমাণে বের হয়। আবার ঐ রস স্বাভাবিক ভাবে সর্বদা কিছু কিছু বের হতে থাকে। এই রস বের হয়ে যোনীনালীকে সর্বক্ষণ ভিজিয়ে রাখে বলে রতিক্রিয়ার সময় কষ্ট হয় না এবং হাঁটাচলায় ঘর্ষণে ব্যথা পায় না। স্ত্রীলোকের সানন্দী পুরুষাঙ্গের কাউপার গ্রন্থির সাথে কিছুটা মিল আছে। ছবিঃ Google থেকে নেওয়া।

নারীর যৌনাঙ্গের পরিচয়


নারীর যৌনাঙ্গের পরিচয়

মেয়েদের সেক্স সম্পর্কে জানতে তাদের যৌন অঙ্গের পরিচয় জানা জরুরী। তাদের কোন অঙ্গের কি নাম তা এখানে তুলে ধরা হয়েছে। মেয়েদের যৌনাঙ্গ কিছু অংশ থাকে গোপন ও কিছু অংশ থাকে বাহ্যিক। জেনে নিন সে সম্পর্কে কিছু ক্ষুদ্র আলোচনা থেকে। মেয়েদের গোপন ছবি meyeder gopon chobi পুরুষের যৌনাঙ্গের মত স্ত্রীর যৌনাঙ্গের দুটি রূপ আছে। একটা বাহ্যিক অপরটা আভ্যন্তরীন। প্রথমে স্ত্রীলোকের প্রজননতন্ত্রের বাহ্যিক রূপ সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। যোনী প্রদেশ স্ত্রীর প্রজননতন্ত্রের প্রধান অঙ্গ হল তাঁর যোনী প্রদেশ। তলপেটের নিম্মে যেখানে উরুদ্বয় এসে মিশেছে, সেই স্থানে খুব নরম থলথলে মাংস বিশিষ্ট ক্রিকোণাকার একটা জায়গা আছে। তাঁর অগ্রভাগ ক্রমান্বয়ে চিকন বা সরু হয়ে উরুদ্বয়ের মাঝখানে দিয়ে চলে গেছে। ঐ স্থানটা তিন হতে সাড়ে তিন ইঞ্চির মত লম্বা হবে। তাকেই বলা হয় যোনী প্রদেশ। স্ত্রী প্রজননতন্ত্রের বাহ্যিক রূপ বা অঙ্গ আট প্রকার। যথাঃ ১। কামাদ্রি। ২। বৃহদৌষ্ঠ। ৩। ক্ষুদ্রদৌষ্ঠ। ৪। ভগাস্কুর। ৫। মূত্রনালীর মুখ। ৬। যোনীনালী। ৭। সতীচ্ছদ। ৮। মলদ্বার। নিম্মে এগুলোর আলোচনা ক্রমান্বয়ের করা হলঃ- কামাদ্রি স্ত্রীলোকের তলপেটের নিম্মে স্থানে যেখানে উরুদ্বয় মিশেছে, ঐ ক্রিকোণ বিশিষ্ট স্থানটাকেই বলা হয় ‘কামাদ্রি’। ঐ জায়গার দুই দিকে পুরু চামড়া আর চর্বি থাকে বলে ঈষৎ উঁচু হয়ে থাকে। স্ত্রীলোকের কৈশোর জীবনের শেষে যৌবনে আগমনে ঐ স্থানে লোম গজিয়ে থাকে। এই লোমগুলোর উপর দিয়ে ঐ ক্রিকোণ বিশিষ্ট স্থানটা জুড়ে ক্রমান্বয়ে দুপাশ দিয়ে বাঁকা ভাবে নিচের দিকে নেমে যায়। সঙ্গমবস্থায় বা অন্যান্য সময় ঐ লোমগুলো স্ত্রীলিঙ্গের নমনীয়তা বজায় রাখে। বৃহদৌষ্ঠ। কামাদ্রির নিম্মের দিকে ঠিক মাঝখান হতে দুপাশে এক জোড়া পুরু ও চেপটা চামড়ার নিচের ভাঁজ , দেখতে কিছুটা ঠোটের মত। মাংসপেশী প্রায় তিন হতে সাড়ে তিন ইঞ্চি নেমে মলদ্বারে কাছে ফিয়ে শেষ হয়েছে। ঐ ঠোটের মত মাংশপেশীদ্বয়কে বলা হয় বৃহদৌষ্ঠ। স্ত্রীলোকের এই বৃহদৌষ্ঠে পুরুষের অণ্ডকোষের ন্যায় কাজ করে থাকে। বৃহদৌষ্ঠের ভিতরটা কোমল ও মসৃণ হয়। কিন্তু তাঁর বাইরের দিকটা কিছুটা কর্কশ ও লোমে আবৃত থাকে। স্ত্রীলোকের যোনীপথ এই মাংশপেশী দ্বারা ঢাকা থাকে। যতদিন পর্যন্ত স্ত্রীলোকের যৌবন অটুট ও সন্তান ধারণশক্তি থাকে, ততদিন পর্যন্ত ঐ ঠোঁট দুটি কিছুটা ফোলা আর কোমল থাকে এবং যোনী-নালীর মুখ কিছুটা চেপে রাখে। কিন্তু যে সময় স্ত্রীলোকের যৌবনে ভাটা দেখা দেয়, আর সন্তান ধারণ ক্ষমতা রহিত হয়ে যায় এবং মাসিক রক্তস্রাব (হায়েজ) চিরদিনের জন্য বন্ধ হয়ে যায়, তখন এই কোমল মাংশপেশি দুটি কোকড়িয়ে ফাঁক হয়ে যায়। বৃহদৌষ্ঠের শেষ প্রান্তের এক ইঞ্চি নিচেই হল স্ত্রীলোকের মলদ্বার। ক্ষুদ্রদৌষ্ঠ ক্ষুদ্রদৌষ্ঠ দেখতে বৃহদৌষ্ঠের মতো। অভ্যন্তরে অপেক্ষাকৃত ছোট দ্বিভাজযুক্ত ঠোটের মতো দুই টুকরা চামড়া দুদিক দিয়ে এসে যোনীনালী এবং মুত্রনালীর মুখ ঢেকে ফেলেছে, এটাই ক্ষুদ্রদৌষ্ঠ। এই পাতলা মাংসের আস্তরণটা স্থিতিস্থাপক তন্ত্র দিয়ে গঠিত। স্ত্রীলোকের কামনা-বাসনায় এটা কিছুটা কঠিন হয়ে উঠে। ক্ষুদ্রদৌষ্ঠ অতিরিক্ত স্পর্শকাতর এবং সংবেদনশীল। গ্রন্থিগুলো হতে রস নির্গত হওয়ার স্ত্রীলোকের যোনীনালী সর্বদা ভিজা থাকে বলে পুরুষের লিঙ্গটা স্ত্রীর যোনী-নালীতে খুব সহজেই প্রবেশ করতে পারে। ভগাস্কুর স্ত্রীলোকের যোনী ফাটলের উপর দিকে সেখানে ক্ষুদ্রদৌষ্ঠের মুখ দুটি এসে পরস্পর জোড়া লেগেছে, ঠিক ঐ স্থানটায় একটি ক্ষুদ্র মাংসের পুটলির মতো দেখা যায়, এতাকেই ভগাস্কুর বলা হয়। এই ভগাস্কুরের সাথে পুরুষের লিঙ্গাগ্রের বেশ কিছুটা মিল রয়েছে। কিন্তু ভগাস্কুরে অনেক বেশি স্নায়ু সন্নিবেশিত হওয়ার কারণে পুরুষের লিঙ্গাগ্র অপেক্ষা অনেক বেশি পুলক সঞ্চারক, সংবেদনশীল ও স্পর্শকাতর হয়ে থাকে। স্ত্রীলোকের বাহ্যিক যৌনাঙ্গের ভিতরে এর মতো সুখানুভব ও আনন্দদায়ক অন্য কোনো অঙ্গ নেই। এটা আকারে সাধারণত সিকি ইঞ্চি হতে আধা ইঞ্চি ভিতরে হয়ে থাকে। স্ত্রীলোকের যখন স্বামী সহবাসের ইচ্ছে জাগে, তখন এই ভগাস্কুরটি কিছুটা কঠিন হয় এবং তাঁর ভিতরে বিদ্যুতের মতো এক প্রকার শক্তি সঞ্চারিত হয়ে থাকে। ঐ শক্তির জন্য ভগাস্কুর অগ্রমনিটা বার বার নাচতে থাকে। মূত্রনালী স্ত্রীলোকের যৌনি-মুখের কিছুটা উপরে এবং ভগাস্কুরের নিচে তাদের মুত্রনালির মুখ অবস্থিত। মুত্রাশয় হতে বের হয়ে মুত্রনালীটা এই জায়গাতে এসে শেষ হয়েছে। সাধারণত স্ত্রীলোকের মুত্রনালীটা লম্বায় দেড় ইঞ্চির মত হবে। অনেকের হয়ত এমন ভুল ধারণা হতে পারে যে, স্ত্রীলোকের মুত্রনালী ও যোনীনালীর মুখ দুটি একই। আসলে এটা ঠিক নয়। মূত্র-নালীর অল্প একটু নিচে পিছনে ঘেসে যোনীনালীর অবস্থান। যোনী-নালী স্ত্রীলোকের মলদ্বারের উপরে এবং মুত্রনালীর নিচে যোনীনালীর মুখ । স্ত্রীলোক দাঁড়ানো অবস্থায় থাকলে যোনীনালিকে একটি লম্বা ফাটলের মত দেয়া যাবে। কিন্তু শুয়ে থাকাবস্থায় উরুদ্বয়কে উপর দিকে উঠিয়ে ফাঁক করলে

পুরুষাঙ্গের প্রকারভেদ


পুরুষাঙ্গের প্রকারভেদ

যৌনবিদগণ পুরুষাঙ্গের শ্রেণীবিন্যাস করতে গিয়ে বলেন-পুরুষের পুরুষাঙ্গ সাধারণত তিনভাগে বিভক্ত। যথাঃ ১। শশকীয় পুরুষাঙ্গ। ২। বৃষকীয় পুরুষাঙ্গ । ৩। অশ্বকীয় পুরুষাঙ্গ । নিম্মে প্রত্যেকটির পরিচয় দেয়া হল- শশকীয় পুরুষাঙ্গের পরিচয় শশকীয় পুরুষাঙ্গ বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বচন হবে, মিষ্ট। মন সদা প্রফুল্ল, তারা দেখতে সুন্দর এবং কোঁকড়ানো চুল বিশিষ্ট। তাদের মুখ গোলাকার এবং দেহ মধ্যাকারের । তাদের হাত পা খুব হালকা এবং সুন্দর। তাদের আত্মসম্মান জ্ঞান আছে। গুরু ও জ্ঞানীজনে ভক্তি থাকে। এসব লোকদের পুরুষাঙ্গ ছয় আঙ্গুল লম্বা এবং বীর্য থেকে সুরভি গন্ধ বের হয়। তারা খুব হালকা ভাবে ভেরায় এবং কামেচ্ছা মাঝে মাঝে জাগে। বৃষকীয় পুরুষাঙ্গের পরিচয় বৃষকীয় পুরুষাঙ্গের অধিকারী ব্যক্তিরাও কিছু পরিমাণে মিষ্টভাষী হয়ে থাকে। তাদের ঘাড়-গর্দান বলিষ্ঠ, কর্কশ কন্ঠস্বর , রক্তবর্ণ হস্তপদ এবং গতি চমৎকার। তাদের ভ্রু খাড়া এবং পেট কচ্ছপাকারে গোলাকার। তাদের বীর্য এবং দেহ থেকে লবণাক্ত আস্বাদ বের হয়। তাদের গতি মাঝারি রকমের কিন্তু স্বভাব হয়ে থাকে তিক্ত। তাদের পুরুষাঙ্গ সাধারণত নয় আঙ্গুল পরিমাণ দীর্ঘ হয়ে থাকে। অশ্বকীয় পুরুষাঙ্গের পরিচয় এমন লোকেরা সাধারণত বাচাল , মুখ হয় লম্বা। লম্বা ও সরু কান, মাথা ও অধর সরু হয়ে থাকে। তাদের কেশ ঘণ ও সন্নিবিষ্ট ও বক্র। তাদের হাত পা বেশ লম্বা এবং দৃঢ়। তাদের আঙ্গুল বেশ লম্বা এবং নখের আঙ্গুলের চেহারা সুগঠিত। তাদের আওয়াজ বা স্বর মেঘ গর্জনবিশেষ। চলাফেরার ক্ষেত্রে তারা খুব দ্রুত পা ফেলে হাটে। তাদের বীর্য থেকে মদের গন্ধ বের হয়। এসব লোকদের পুরুষাঙ্গ প্রায় বারো আঙ্গুল পরিমাণ লম্বা হয়ে থাকে।

অন্ডকোষ সম্পর্কে কিছু ধারণা


অন্ডকোষ সম্পর্কে কিছু ধারণা

অণ্ডকোষের অবস্থান পুরুষাঙ্গের নিচে। যা দৈর্ঘ্য দেড় ইঞ্চি, প্রস্থে সোয়া ইঞ্চি, ওজন আধা ছটাক ডিম্বাকৃতির দুটি কোষ। যার মধ্যে বীর্য প্রস্তুত হয়। এটি একেবারে সূক্ষ সূক্ষ শিরা বা ধমনি দ্বারা আবৃত। কোষাকৃতি নল বিশিষ্ট। দৈর্ঘ্য শরীরের ভিতর দিকে তিন বিঘত। এ রগগুলোক্ব পৃথক পৃথক ভাবে পরস্পর গিঁট দেয়া হয়, তবে দৈর্ঘ্য দুই মেইল পর্যন্ত বিস্তৃত হএ। শরীরের প্রস্তুতকৃত বীর্য ঐ শিরাগুলি দ্বারা অণ্ডকোষে এসে জমা হয়। অণ্ডকোষ প্রত্যেক ও প্রাণীরই রয়েছে। এটাকে গুদাম ঘর বিশেষও বলা যেতে পারে। মানুষের অণ্ডকোষের গোশত সাদা এবং সবচেয়ে নাযুক স্থান। সামান্য ব্যাথাও অসহ্য মনে হয়। এর ভিতরের গোশত সাদা, এজন্য বীর্যের রঙ সাদা। যেমন নারীদের স্তনের ভিতর গোশত সাদা হওয়ার কারণে দুধের রঙও সাদা।

পুরুষাঙ্গ বিষয়ে কিছু কথা


পুরুষাঙ্গ বিষয়ে কিছু কথা

মানুষের শরীরে যতগুলো অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ রয়েছে, তন্মধ্যে এটিও একটি অঙ্গ। পুরুষেরা প্রাপ্তবয়সে পৌঁছার পর তাদের পুরুষাঙ্গে এক প্রকার শক্তি আসে। যার কারণে বিশেষ মুহূর্তে তা শক্ত ও মজবুত হয়। যখন শক্ত ও মজবুত হয়, তখন তা পূর্বের তুলনায় অনেকটা দীর্ঘ হয়ে যায়। সহবাসের সময় পুরুষাঙ্গ দীর্ঘ হওয়ার ফায়েদা হল, এর দ্বারা পুরুষের বীর্য নারীর রেহেমের ভিতরে চলে যায় এবং সে বীর্যেই সন্তান জম্ম হয়ে থাকে। পুরুষদের এই বিশেষ অঙ্গে কোনো প্রকার হাড্ডি নেই। কিন্তু যখন শক্ত ও মজবুত হয়, তখন হাড্ডির মতো শক্ত হয়ে যায়। এটা শুধুমাত্র গোশত ও রগ-শিরা দ্বারা প্রস্তুতকৃত। এ অঙ্গের বিশেষ বৈশিষ্ট হল, এর দ্বারা যৌনসম্ভোগের কাজ সমাধা করা যায়। অর্থাৎ বীর্য ভাণ্ডারের স্থান পরিবর্তনের কাজটি স্বাদ ও প্রফুল্লতার সাথে সাথে সম্পাদন করে থাকে। জ্ঞাতব্য বিষয় হলঃ পুরুষাঙ্গের প্রসারতার শক্তি অন্তর থেকে হয়ে থাকে। আর তাঁর উপলদ্ধি হয় ধমনির দ্বারা। তাঁর খাবার যোগান দেয় কলিজা। কলিজা ও মস্তিক থেকে পরস্পর মিলনের ইচ্ছে শক্তি জাগে। বেশিরভাগ সময় পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্যতা পাশাপাশি ছয়টি আঙ্গুল মিলালে যে পরিমাণ দৈর্ঘ্য হয়, সে পরিমাণ লম্বা বা দীর্ঘ হয়ে থাকে। নারীদের গুপ্তাঙ্গের দৈর্ঘ্যতাও ঐ পরিমাণই হয়ে থাকে। যদি কারো পুরুষাঙ্গ লম্বায় ঐ পরিমাণ না হয়, যার কারণে সহবাসের সময় তাঁর লিঙ্গ বাচ্ছাদানি পর্যন্ত পৌঁছে না এবং সহবাসে স্ত্রী পূর্ণাঙ্গ তৃপ্তিও পায় না, তাহলে তাকে সহবাসের সময় ভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করতে হয়। আর সেটি, তাকে তাঁর যৌনাঙ্গ বৃদ্ধির ওষুধ ব্যবহার করতে হবে, নতুবা সহবাসের সময় স্ত্রীর নিতম্বের নিচে বালিশ বা বালিশের মতো উঁচু জিনিস রেখে সহবাস করতে হবে। এতে স্ত্রী পরিপূর্ণ তৃপ্তি অনুভব করতে পারবে। এর দ্বারা কারো মনে কোনো প্রকার কষ্ট থাকবে না। যৌনাঙ্গের উত্তেজনা উপলদ্ধি অনেক ভাবেই হতে পারে পুরুষাঙ্গের লাল বর্ণের শিরা, কালো বর্ণের শিরাগুলো উত্তেজনায় ছটফট করতে থাকে। পুরুষাঙ্গের প্রসারতা, শক্তি ও অনুভূতি শিরা ও ধমনী বেশি হওয়ার কারণে হয়ে থাকে। পুরুষাঙ্গে প্রথম অংশ তথা মাথা দেখতে খোসাবিহীন সুপারির মতো গোলাকার। সেজন্য তাকে সুপারীও বলা হয়ে থাকে। পুরুষদের শারীরিক গঠন বৃদ্ধি পাওয়ার সময় পর্যন্ত পুরুষাঙ্গ লম্বা ও মোটা হয়ে থাকে। আর তা হলে ত্রিশ থেকে পয়ত্রিশ বছর পর্যন্ত। এর পর মানুষদের যদিও গঠন বৃদ্ধি পায় কিন্তু পুরুষাঙ্গ বৃদ্ধি পায় না। তবে মোটা ও গোল হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে। আর এর জন্য বিভিন্ন ফর্মুলা রয়েছে। পুরুষাঙ্গের দৈর্ঘ্যতা তিন ধরনের হয়ে থাকে। যথাঃ ১। ছয় থেকে সাত আঙ্গুল পরিমাণ। ২। নয় আঙ্গুল পরিমাণ। ৩। বারো আঙুল পরিমাণ। সাধারণত লোকদের ছয় থেকে সাত আঙ্গুল পুরুষাঙ্গ দীর্ঘ হয়ে থাকে। হ্যাণ্ডস্যাম ও মজবুত ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকের নয় আঙ্গুল পরিমাণ পুরুষাঙ্গ দীর্ঘ হয়। শক্তিশালী ও লম্বা লোকদের পুরুষাঙ্গ বারো আঙ্গুল পর্যন্ত দীর্ঘ হতে পারে। তবে এ ধরণের লোক সংখ্যায় একেবারেই কম। যাদের পুরুষাঙ্গ বার আঙ্গুল পরিমাণ লম্বা এসব পুরুষাঙ্গ ভালো নয়। সাধারণত এসব পুরুষাঙ্গে শক্তি কম থাকে। বিশেষ সময়ে তেমন একটা মজবুত এ শক্ত হয় না। এদের সাথে যেসব নারীর সহবাস হবে, দীর্ঘতাঁর দিক দিয়ে তাদেরও যথেষ্ট লম্বা হতে হবে। অন্যথায় নারীরা তাকে সহ্য করতে পারবে না। স্বামী যেমন স্ত্রীও তেমন হতে হবে। এমন যদি হয় যে, স্ত্রী বেশ লম্বা কিন্তু স্বামী একেবারে বেটে, তাহলেও বেমানান। আবার যদি এমন হয় যে, স্বামী অনেক লম্বা কিন্তু স্ত্রী স্বামীর কোমর বরাবর লম্বা, তাহলেও বেমানান । এদের মধ্যে কেউ সহবাসে পূর্ণাঙ্গ তৃপ্তি লাভ করতে পারবে না। এজন্য বিবাহের সময় স্বামী-স্ত্রীর উচ্চতা খেয়াল রাখতে হবে। আমাদের দেশের পুরুষদের পুরুষাঙ্গ সাধারণত ছয় থেকে সাত আঙ্গুল পরিমাণ লম্বা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের মেয়েদের যৌন তৃপ্তি দেয়ার জন্য ছয় থেকে সাত আঙ্গুল পরিমাণ পুরুষাঙ্গ হলেই যথেষ্ট। এসব ক্ষেত্রে পুরুষ নারীর মিল না হলে, কেউ পূর্ণাঙ্গ তৃপ্তি পায় না। বিশেষ করে নারীরা যদি স্বামী থেকে পূর্ণাঙ্গ তৃপ্তি না পায়, তাহলে তাকে যত কিছুই দেওয়া হোক না কেন, তাঁর সব চাহিদা [এটা ছাড়া] পূরণ করা হোক না কেন, পৃথিবীর রাজত্ব তাঁর হতে দিলেও সে সন্তুষ্ট হবে না। দুনিয়ায় সব কিছু দিলেও সে মন থেকে নিবে না। দুনিয়া সব কিছু, প্রয়োজনের অধিক টাকা পয়সা দিলেও আসল জিনিসটা মন মতো দিতে পারা গেল না, তাহলে মনে রাখতে হবে [স্ত্রীর মনে হবে] তাকে কিছুই দেওয়া হয় নি। আল্লাহ তাআলা পুরুষের এ বিশেষ অঙ্গটি যে কাজের জন্য বানিয়েছেন, এর দ্বারা যদি সে কাজটি পূর্ণাঙ্গ ভাবে না হয়, তাহলে পুরুষের পুরুষত্ব কোথায়? অতএব এ বিষয়ে যতেষ্ট যত্মবান হতে হবে। দুনিয়ার জীবনে স্বর্গীয় সুখ অনূভব করতে চাইলে এ বিষয়ে পরিপূর্ণ জ্ঞান এবং পূর্ণাঙ্গ আনন্দ ও তৃপ্তি পাওয়ার জন্য সব রকম চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।

লিঙ্গের কাজ কি?


লিঙ্গের কাজ কি?

সৃষ্টি জগতে মানব জাতি তথা পুরুষ ও স্ত্রীলোক সঙ্গম করে থাকে এবং তাঁর ফলেই সন্তান লাভ হয়। মানব দেহের ভিতরে যে অসার জলীয় পদার্থ আছে, তা এই লিঙ্গের মাধ্যমে মূত্রের আকারে বের হয়ে যায়। সুতরাং এই অঙ্গ সক্রিয় না থাকলে মানুষের পক্ষে দেহ ধারণ করা এক রকম অসম্ভব হয়ে পড়বে বা ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে। মানুষের দেহে সঙ্গম ক্ষমতা বিশিষ্ট অঙ্গ আর নেই। এর গঠন প্রণালী অন্যান্য অঙ্গগুলো হতে আলাদা প্রকৃতির। পুরুষের মনে রতি বাসনার উদ্রেক হলেই তা উত্তেজিত হয়ে পড়ে। যতক্ষণ পর্যন্ত তাঁর উত্তেজনা দমবে না এবং লিঙ্গও নিস্তেজ হবে না। আসলে রতিক্রিয়া শেষ হবার সঙ্গে সঙ্গেই আপনা আপনি নিস্তেজ হয়ে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে যায়। সুতরাং শরীরের ভিতরে যেমন এই অঙ্গটা একটা বিশেষ ক্ষমতা দখল করে রয়েছে, তেমনি শরীরের সর্ব প্রকারের যৌন সুখানুভূতির প্রাণকেন্দ্রও হচ্ছে এই অঙ্গটা । সঙ্গমকালে পুরুষ ও স্ত্রীকে চরম ও পরম আনন্দ সুখ দান করে তাঁর এই অঙ্গ বা লিঙ্গটা। অতএব, চিন্তা করলে অবাক লাগে যে, কিভাবে একই নালি পথে শুক্র ও মূত্র বের হয়ে থাকে। এটা মানুষের চিন্তার বাহিরে। এটাই হচ্ছে সৃষ্টির স্রস্টার কুদরতের নিদর্শন । পুরুষ বা স্ত্রী রতিক্রিয়ার সময়ে মূত্রের বেগ থাকলেও তখন মূত্র বের হয় না। আবার শুক্র বের হওয়ার সময়ও মুত্র বের হতে দেখা যায় না বা বের হয় না।

লিঙ্গের গঠন প্রণালী


লিঙ্গের গঠন প্রণালী

মানুষের লিঙ্গ কতিপয় শিরা, উপশিরা, তন্তু ও স্নায়ুর সাহায্যে গঠিত হয়েছে। এর ভিতরে কোন অস্থি বা পেশি নেই। কিছুটা স্পঞ্জের মত। এটা কখনো নিস্তেজ হয়ে ছোট হয়ে যায়, আবার উত্তেজনার সময়ে বেড়ে যায়। লিঙ্গ গঠনের ভিতরে একটু চিন্তা করলে অনুভব করা যাবে যে, স্রষ্টার কুদরতের মহিমা কত বড়। তাঁর কুদরতের কোন সীমা নাই। লিঙ্গের অভ্যন্তরে কতগুলো ছিদ্র ছিদ্র আছে। কামোত্তেজনার সময় ওই ছিদ্রগুলো রক্তে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। যার ফলে লিঙ্গ সতেজ ও শক্ত হয়ে থাকে। কামোত্তেজনার পরে কিন্তু এ জমা রক্ত ছিদ্রগুলো হতে বের হয়ে যায়। তখন লিঙ্গ আস্তে আস্তে শিথিল হয়ে যায়। কামোত্তেজনা ব্যতীতও লিঙ্গ প্রসারিত হয়। যেমন পেশাবের বেগ হলে লিঙ্গ প্রসারিত হয়ে থাকে। আমরা স্বাভাবিকভাবে লিঙ্গকে লম্বায় যতখানি দেখি, আসলে তা তাঁর লম্বায় মাপ নয়। আমাদের দৃষ্টির বাইরে ও ভিতরের দিকে তাঁর কতক অংশ আছে। যেমন উত্তেজনার সময় বস্তী প্রদেশে হাত দেখলেই বুঝা যাবে যে, লিঙ্গের মত শক্ত ও মোটা কিছু অংশ ভিতর দিকেও আছে।

যৌনাঙ্গাদির সংস্থান ও ক্রিয়া


যৌনাঙ্গাদির সংস্থান ও ক্রিয়া

অতঃপর স্থুল যৌন অঙ্গ সমূহের কিছু পরিচয় দেওয়া দরকার। এই পরিচয় খানিকটা দিয়ে না রাখলে কোন কথাই গুছিয়ে বলার বা বোঝার সুবিধা হবে না। যদিও নিজের নিজের গোপনাঙ্গের কথা সবারই জানা তবুও সবাই হয়ত সব কিছু স্পষ্টভাবে জানে না। নিজের চোখে দেখা আর বিজ্ঞানের দৃষ্টিকোণ থেকে দেখে জানা—এই দুয়ের মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। পুরুষ ও নারী__ উভয়ের যৌনাঙ্গ সম্বন্ধে সম্যক জ্ঞান থাকা উচিত। তাতে দু’তরফ থেকেই অনেক অসুবিধা দূর হয়। প্রথমে খুব সংক্ষেপে পুরুষের যৌনাঙ্গ সম্পর্কে বলা যাক। পুরুষের প্রধান যৌনাঙ্গ তার শরীরের বাইরে বেরিয়ে থাকা পুরুষাঙ্গকেই বোঝায়। সংস্কৃত ভাষায় এর সুললিত সুন্দর নামও আছে অনেক, আবার বাংলা চলতি নামও আছে। সংস্কৃত নামের মধ্যে দুটি বহুল প্রচলিত নাম হলো, শিশ্ন, সাধনদন্ড। কিন্তু এর মধ্যে কোনটিরই তেমন প্রচলন না থাকায় আমরা একে ঐসব নামে উল্লেখ না করে শুধু পুরুষাঙ্গ বা লিঙ্গ বলব। এই এক লিঙ্গের দ্বারা আমাদের দুই কাঝয়। এ হলো একাধারে মূত্র ও শুক্রত্যাগের যন্ত্র। এমনই এক অদ্ভুত ব্যবস্থায় প্রকৃতির যথেষ্টই যে মৌলিকতা প্রকাশ পেয়েছে তাতে কোন সন্দেহ নেই। মূত্রের সঙ্গে বেরিয়ে আসে শরীরের যত বর্জ্য ক্লেদ পদার্থ, আর শুক্রের সঙ্গে নির্গত হয় নশ্বর দেহ থেকে তৈরি এক অবিনশ্বর বীজ পদার্থ, যা মানুষকে দেয় সৃষ্টির আনন্দ , প্রমাণ করে জীবনের অমরত্ব। প্রকৃতিক বিধানে পুরুষের জন্য- নিকৃষ্ট এবং উৎকৃষ্টের একটাই নির্গমন পথ। পুরুষ-লিঙ্গ লম্বাটে মাংসস্তস্তের মতো একরূপ নরম পদার্থ, উপরে পাতলা চামড়ার আবরণ দিয়ে ঢাকা। সাধারণত বিশ্রামের অবস্থায় এটি প্রায় তিন চার ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা থাকে, কিংবা তার চেয়ে কম থাকে। কিন্তু উত্তেজিত হলে তখন আকারে বেড়ে গিয়ে ছয় –সাত ইঞ্চি পরিমাণেও লম্বা হয়ে দাঁড়ায়। তখন এর পরিধিও শান্ত অবস্থায় চেয়ে খানিকটা বেড়ে আরও মোটা হয়ে যায়। শান্ত অবস্থায় দেখলে মনে হবে এটি বুঝি খুবই নরম মাংসের তৈরি, আর উত্তেজিত কঠিন অবস্থায় দেখলে মনে হবে যে এর ভিতরে শক্ত হাড় আছে। কিন্তু বাস্তবিক এর মধ্যে হাড়ও নেই কিংবা মাংসও নেই। আসলে এটি আগাগোড়া স্পঞ্জের মতো জালিযুক্ত একরূপ পদার্থ দিয়ে গড়া। সেই স্পঞ্জ-পদার্থের জালির গায়ে গায়ে অসংখ্য এলোমেলো রক্তশিরা আছে। সেখানে রক্ত এসে জমে। ঐ রক্তশিরার মধ্যে ছিপির মতো একরকম কোষ। প্রয়োজন হলে সেগুলি ফুলে উঠলেই সেখানে রক্ত জমে আর তা সরে যেতে পারে না। সহজ অবস্থায় রক্তের চলাচল তার মধ্যে খুবই কম থাকে, সেইজন্য লিঙ্গটি তখন চুপসে এবং কুঁকড়ে নরম হয়ে থাকে। কিন্তু উত্তেজনা ঘটলেই তখন ওর সমস্ত শিরাগুলি এবং স্পঞ্জের পৃঃ ০১ লিঙ্গের গঠন তন্ত্রে রয়েছে স্পঞ্জের মতো সংবেদনশীল পেশী এবং স্নায়ু। সাধারণ অবস্থায় এই স্নায়ু এবং কোষগুলির (Tissues) মধ্যে রক্তের চাপ না থাকায় কোষগুলি সঙ্কুচিত এবং শান্ত অবস্থায় থাকে। যৌনোত্তেজনা হলে এই শূন্য কোষগুলির মধ্যে রক্ত এসে জমা হয় এবং চাপ সৃষ্টি করে। এই রক্তের প্রবাহ লিঙ্গের কোষ থেকে স্রে গেলে লিঙ্গের দৃঢ়তা নষ্ট হয়ে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসে। ভিতরকার জালি গুলি রক্তে ভরাট হয়ে টইটম্বুর হয়ে উঠে। তারই ফলে লিঙ্গটি তখন কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। স্পঞ্জের মতো কোন চোপসানো জিনিসের মধ্যে অনেকখানি রক্ত ভরে দিলে তখন সেটা যথাসাধ্য ফুলে উঠবেই। মনে করো সাইকেলের চাকার রবার টিউবের মধ্যে যদি হাওয়ার বদলে পাম্প করে অনেকখানি জল ভরে দেওয়া যায়, তাহলে সেটা তৎক্ষণাৎ ফুলে টাইট হয়ে যাবে। আবার জলটা বের করে দিলেই সেটা চুপসে গুটিয়ে নরম হয়ে যাবে। পুরুষ-লিঙ্গের মধ্যে জলের বদলে রক্তের দ্বারা এই কাজটাই হয়ে থাকে। এটি বিশেষ প্রয়োজন , কারণ এমনি শক্ত হয়ে না উঠলে ঐ অঙ্গটি স্ত্রী যোনির মধ্যে সহজে ঢুকতেও পারে না, আর সবেগে শুক্রও নিঃসরণ করতে পারে না। শুক্র বের করে দেবার পরেই এর কাজ ফুরিয়ে যায়। তখন উত্তেজনাও কমে যায়, আর ছিপির মতো কোষগুলি পৃঃ ০২ সঙ্কুচিত হয়ে যাওয়াতে জমানো রক্তের স্রোতও সেখানে থেকে সরে যায়। উত্তেজনাটা প্রথমে জাগে মনে। আর মনই স্নায়ুর দ্বারা সাড়া পাঠিয়ে লিঙ্গকে এমনিভাবে উত্তেজিত ও কঠিন করে। লিঙ্গের গোড়াটা থাকে তলপেটের নিচকার হাড়ের কাছাকাছি। লিঙ্গের নিচেই রয়েছে অন্ডকোষ। লিঙ্গের সুমুখদিকের লাল মসৃণ অংশটি হলো ওর মুন্ডু। এই মুন্ডুটি যৌন সুখানুভূতির চরম স্থান। যোনির ভিতরে প্রবেশের পর ঘর্ষণের দ্বারা এটি আরো উত্তেজিত হলে তখন আক্ষেপ সহকারে শুক্র নির্গত করে। ওর মুখের কাছে একটি ছিদ্র। ঐ ছিদ্র দিয়েই মূত্র শুক্র নির্গত হয়। মুণ্ডুটি মুখ থেকে পিছনে দিকে একটু মোটা হয়ে উচু কিনারা নিয়ে স্কন্ধদেশে শেষ হয়েছে। তার পিছনেই একটু খাঁজ কাটা খালের মতো লিঙ্গের গলদেশ। মুন্ডুটি যে পাতলা চামড়া দিয়ে ঢাকা থাকে সেই চামড়াটিকে বলে ছত্র। ইচ্ছা করলে এই চামড়াটি ছাড়ানো যায়, রবং কারো কারো পক্ষে এটা আপনা হতে ছাড়ানোই থাকে। মুন্ডুটির পিছনে লিঙ্গের গলদেশে একরকম তৈলাক্ত পদার্থ জম্মায়, তাকে ইংরেজিতে

যোনিমুখ


যোনিমুখ

দ্বিতীয় হলো যোনিমুখ। একে ছিদ্রের বদলে বিধর বলাই উচিৎ। কারণ এর পরিধি প্রায় এক ইঞ্চির কম নয়। সঙ্গমে পুরুষের লিঙ্গ দেউরি পার হয়ে প্রথমে এই বিবরের মুখ দিয়ে ঢুকেই পরে যোনি গুহাতে প্রবেশ করে। আবার সন্তান প্রসবের সময় এই বিবরের মুখ দিয়েই জরায়ু থেকে বাইরে বেরিয়ে আসে। বলা বাহুল্য তখন এর মুখটি চাপ পেয়ে অনেক বেশী বিস্তৃত হয়ে যায়। এই যোনি মুখের ফাঁকটি চিৎ হয়ে শুলেও খোলা গর্তের মতো ফাঁক দেখায় না। এটি দেখায় যেন অর্ধেক মুখবোজা এতবড় একটা ফাটলের মতো। এটি দেখায় যেন অর্ধেক মুখবোজা এতবড় একটা ফাটলের মতো। তার কারণ দুই পাশ থেকে ঠেলে আসা মাংসাদির দ্বারা আর ভিতরকার যোনিগাত্রের সামনে ঠেলা চাপের দ্বারা এই গর্তের মুখটি প্রায় সম্পূর্ণ চাপানো মত অবস্থাতেই থাকে। যারা সন্তান প্রসব করেছে তাদের পক্ষে আরও খানিকটা ফাঁক থেকে যায় মাত্র। কিন্তু হাঁটু গেঁড়ে উবুর হয়ে মাথাটা ও বুকটা মাটি সমান নিচু করলে তখন পিছন দিকে থেকে যোনির মধ্যে বায়ু প্রবেশ করে এবং তখন দেখা যায় যে দুই দিকের চাপা আলগা হয়ে ঐ গর্তের মুখটি খুলে অনেকটা ফাকা হয়ে গেছে। নতুবা ডাক্তারী পরীক্ষাদির সময়ও চিৎ করে শুইয়ে মেয়েদের যোনির মধ্যে কিছুটা দেখবার উপায় নেই। স্পেকুলাম নামক বিশেষ যন্ত্রের দ্বারা দুই দিক থেকে লেবিয়ার দরজায় ফাঁক করে ধরলে তখন এর কিছু দেখতে পাওয়া যায়। তবে সঙ্গমের সময় সহজেই পুরুষ লিঙ্গ ওর মধ্যে প্রবশ করে, কেমন করে? সেটাও এখানে বলে রাখা দরকার। দেউড়ির মাংসের অন্তরালে দু, পাশে চারটি করে ছোট গ্ল্যাণ্ড বা গ্রন্থি লুকিয়ে আছে, তার সুক্ষ নল্গুলি যোনি গর্তের মুখের কাছেই এসে উন্নক্ত হয়েছে। মেয়েদের যৌন উত্তেজনা এসে পড়লেই ঐ সকল গ্রন্থি থেকে এরকম পিচ্ছিল লালার মতো রস ঝরতে শুরু হয় এবং সমস্ত যোনির মুখটি সেই রসে ভিজে পিচ্ছিল হয়ে উঠে। তাছাড়া লেবিয়া দুটিও উত্তেজনায় ফুলে উঠে। ফাঁক হয়ে পড়ে , তখন পিচ্ছিল যৌন মুখ দিয়ে সঙ্গমের জন্য প্রস্তত মাংস দণ্ডবৎ কঠিন পুরুষ লিঙ্গ অনায়াসে ঠেলে প্রবেশ করে। তার অগ্রগতির চাপে যৌনিদ্বারের বোজা দেয়াল তখন অনায়াসে আরও বেশী ফাঁক হয়ে যায়। তবে যদি ঐ পিচ্ছিল রস স্বভাবত পরিমাণে খুব কম হয়, কিংবা কারো পক্ষে যদি সে রস দেখা দিতে খুবই বিলম্ব হয়, তাহলে লিঙ্গ প্রবেশের সময় উভয় পক্ষেরই অল্প বিস্তর বাঁধা অনুভব করায় এবং নরম স্থান গুলি একটু আধুটু ছিঁড়ে যাবারও স্পম্ভাবনা থাকে। এই সকল ক্ষেত্রে কিছু কৃত্রিম পিচ্ছিল কারী জিনিস দিয়ে সঙ্গমের আগে যোনি মুখ বিজিয়ে নরম করে নেওয়া দরকার হয়ে পড়ে। এ অভিজ্ঞতা সম্ভবত অনেকেরই আছে। অর্থাৎ আদৌ যারা আগে কখনও সঙ্গমে নিযুক্ত হয়নি , এমনি ধরনে কুমারীদের যৌনিমুখ বিশেষ একটি পাতলা চামড়া দিয়ে অল্পাংশে কিংবা অধিকাংশে ঢাকা থাকে। এই পদার্থটিকে হাইমেন বলে, আমাদের ভাষাতে বলে সতীচ্ছেদ্র বা কুমারী পর্দা। এ পর্দা যাদের যৌনির গর্ভ মুখের অনেক স্থান জুড়ে আছে, তাদের এটিকে না ছিঁড়ে ফেলা পর্যন্ত লিঙ্গ বা অন্য কোন বস্তুর যৌনির মধ্যে সহজেই ঢুকতে পারে না। তবে প্রথম সঙ্গমের আঘাতে এটি ছিঁড়ে যায়। লোকে তাই মনে করে যে এইটি ছিঁড়ে না থাকলেই বুঝতে হবে যে, যোনি তা,হলে আজও পর্যন্ত একবারও ব্যবহিত হয়নি। সে জন্যই এর নামও দেওয়া হয়েছে সতিচ্ছেদ্র । কিন্তু এরূপ ধারণা থাকা ভুল, সকলের যে এমন ঘটবে তার কোন নিয়ম নেই। অনেকের সতিচ্ছেদ্র অক্ষত থাকা সত্বেও ঢিলা এবং কোন কোন পক্ষে যথেষ্ট ফাঁক থাকার দরুন সেটিকে আদৌ না ছিঁড়ে সঙ্গম করতে পারা অনায়াসে সম্ভব। আবার অনেকের হয়তো আঙ্গুলের আঘাতের দ্বারা বা অন্য সামান্য উপায়ে সতীচ্ছেদ্রটি আপনা থেকেই ছিঁড়ে গেছে অথচ তখন পর্যন্ত তাদের প্রকৃত পক্ষে সংসর্গ একবার ও ঘটেনি।সুতরাং ওর ছেড়া বা না ছেড়ার দ্বারা তথাকথিত কুমারীত্ব সম্বন্ধে নিশ্চত কিছু মীমাংসা হয় না। এই স্ত্রী – যোনি আসলে একটি ফাকা হলেও প্রকৃতি পক্ষে এটি ফাঁক হয়ে খোলা অবস্থায় থাকে না। এর ভিতর অংশের সামনের দেয়ালে এবং পিছনের দেয়াল দুটি দু,দিকে থেকে ঝুকে এলে মলের ভিতরকার ফাঁকটা বুঝিয়েই রেখেছে। যখন ওর মধ্যে লিঙ্গ প্রবেশ করবে তখন নলটি ফাঁক হয়ে যাবে, আবার লিঙ্গ বেরিয়ে এলেই অমনি আগের মতো আবার বুঝে যাবে। স্ত্রী যোনির এই সঙ্গম নলটি প্রায় তিন ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা । এটি কিন্তু আগাগোড়া সোজা নল নয়। পরীক্ষা কালেই জানা যাবে এটি উপর দিকে বেকে গেছে এবং সামনের দিকে একটু ঝুকে থেকে কতকটা ধনুকের মতো আকার নিয়েছে। এর ভিতরে পরিধিরও কোনো নির্দিষ্ট মাপ নেই। প্রয়োজন হলে মাংস পেসীর ক্রিয়ার দ্বারা এটি অনেক খানি ফাকা অথবা অনেকটাই সংকুচিত হয়ে থাকতে পারে। দুই রকম মাংস পেশী এর উপর ক্রিয়া করে। সন্মুখের দিক থেকে এরকম, এর উপকার দিক অন্যরকম। সময় – সময় এই দুই রকম মাংস পেশী উত্তেজনায় তাড়াতাড়ি সংকোচন ও প্রসারণ করতে থাকায় যোনি মতো এক রকম ক্রিয়া করতে পারে। সঙ্গমের সময় এই ক্রিয়ার দ্বারা লিঙ্গের উপর মাঝে মাঝে চাপ দিয়ে তাকে আরও উত্তেজিত করিয়ে শুক্রপাত ঘটাবার ফলে খুব সুবিধা

নারী দেহের যৌনাঙ্গ

নারী দেহের যৌনাঙ্গ

নারীদেহের যৌন অঙ্গ সমূহের পরিচয় স্বতন্ত্র ধরনের। মেয়েদের যৌন স্থানগুলি পুরুষের চেয়ে অনেক বেশি জটিল এবং সূক্ষ্ম। বিভিন্ন অবস্থাতে সেগুলির নানার রকমের বৈচিত্র ঘটে থাকে। মেয়েদের অঙ্গাদি মুদ্রিতকলি কুমারী অবস্থায় থাকে একরকম, সদ্য প্রস্ফুটিত যৌবন অবস্থায় থাকে একরকম, সন্তানগর্ভা অবস্থায় থাকে একরকম, সন্তানবর্তী প্রসূত্রি অবস্থায় থাকে একরকম, আর নির্বাপিত ক্রিয়াবিবর্জিত অবস্থায় থাকে একরকম। এই পাঁচরকম বিভিন্ন অবস্থায় মধ্যে যৌবনে গমন ও তার পরবর্তী অবস্থায় আমাদের বিশেষ ভাবে আলোচ্য। মেয়েদের যৌন অঙ্গগুলিকে মোট দুই ভাগে ভাগ করা যায়। তার মধ্যে কতকগুলি বাইরে আছে বলে প্রকাশ্য। আর কতকগুলি ভিতরে আছে বলে অপ্রকাশ্য। বাইরের দিকে যা রয়েছে তাও দাঁড়ানো অবস্থায় বাইরের থেকে দেখা যায় না। শুধু তলপেটের নিচে দেখা যায় মাত্র, একটু তিনকোণ স্থান, যার নাম কামাদ্রি। এর নিচেই লুকিয়ে রয়েছে যনির গুহা। উত্তান অবস্থায় অর্থাৎ চিৎ হয়ে শুয়ে জানু দুটি ফাঁক করলে তবেই তার প্রবেশদ্বার দেখা যায়। এই অবস্থায় দেখলে প্রথমেই নজরে পড়ে কুঁচকি দুটির মধ্যবর্তী স্থানে কোষার মতো উঁচু উঁচু দুটি মাংসমেদের স্তবক, নরম চামড়া দিয়ে ঢাকা, এবং সেই দুটির মাঝখানে লম্বা একটি ফাটল। ফাটলের অন্তরালে কি আছে, মাংস স্তবক দুটি দুপাশ থেকে ফাঁক করে না ধরলে তা দেখা যাবে না। এই স্তবকের চামড়ার উপর ইতস্তত অল্প বিস্তর লোম গজিয়ে আছে। প্রবেশ পথের গোড়াতেই ফটকের দুটি বদ্ধ পাল্লার মতো এই লোমযুক্ত স্তবক দুটি ভিতরের দৃশ্যকে আড়াল করে আছে। এর ইংরেজী নাম লেবিয়া মেজরা, বাংলায় বলা যেতে পারে বড় দরজা। এই বড় দরজা দুটি ফাঁক করে ধরলে তার পিছনেই দেখা যাবে দুটি লেবিয়া মাইনরা, অর্থাৎ ছোট দরজা। এই দুটি বড় দরজার চেয়ে অনেক নরম চামড়ার তৈরি এবং দেখতেও পাতলা। আসলে বড় দরজা চামড়া দিয়ে ঢাকা, কিন্তু এই দুটি ঝিল্লী দিয়ে ঢাকা। এই দুই জোড়া দরজা পিছনের দিকে অর্থাৎ গুহ্যদেশের দিকে খানিকটা পর্যন্ত গিয়ে সেখানকার পাতলা চামড়াতে এসে মিশে গেছে। এইখানের হলো যোনির শেষ প্রান্ত। একে বলে মূলাধারপীঠ। এরপর থেকে আরো পিছনে মলদ্বার পর্যন্ত যে চামড়ায় ঢাকা স্থানটুকু, তার নাম মূলাধার। শুধু কুমারী অবস্থাতেই ঐ মূলাধারপীঠ স্পষ্ট সীমারেখা মতো দেখা যায়। বহুবার সঙ্গমের পর কিংবা সন্তান প্রসবের পর সেটি মূলাধারের উপরের চামড়ারসঙ্গে মিলিয়ে যায়। সুমুখ দিকে খানিকটা এসেও ছোট দরজা দুটি খুব পাতলা হয়ে এক জায়গাতে মিলিয়ে গেছে। ঠিক তার সামনেই প্রায় হাড়ের কাছাকাছি জায়গাতে উঁচু হয়ে আছে। পুরুষের লিঙ্গের অনুকরণে খুব ছোট একটি বোটাঁর মতো ক্লিটরিস, যাকে সংস্কৃতে বলে ভগাস্কুর, অথবা শিশ্নিকা। এটি পুরুষের শিশ্নের অনুকরণে তৈরি বলেই ওর ঐ নাম। পুরুষের লিঙ্গের মুন্ডের উপর যেমন একটি ছত্র আছে, এর উপরেও তেমনি একটি ছত্র একে ঘিরে আছে। অনেক সময় এই অঙ্কুরটি এতই ছোট থাকে যে ছত্র ভালো করে ফাঁক না করলে তা মোটে দেখাই যায় না। কিন্তু দেখা না গেলেও আঙ্গুল দিয়ে নাড়লে এটিকে শক্ত একটি বোঁটার মতো স্পষ্ট টের পাওয়া যায়। এই সামান্য অঙ্কুরের যৌন স্পর্শসুখ অনুভব করবার শক্তি অনেক বেশি, এমন কি পুরুষের লিঙ্গমুন্দের চেয়েও বেশি। কোনো সামান্যমাত্র মৃদু স্পর্শে এটি উত্তেজিত হয়ে কঠিন হয়ে উঠে। বিস্তর সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম নার্ভের অনুভূতিসম্পন্ন তন্ত এখানে এসে জড়ো হয়েছে। পুরুষ লিঙ্গের মতো স্পঞ্জজাতীয় পদার্থ দিয়ে এটিও তৈরি, এবং উত্তেজিত হলে এটিও রক্তাধিক্যের ফলে সুপ্ত অবস্থা থেকে খাড়া হয়ে জেগে ওঠে। যদিও আকারে খুবই ছোট, কিন্তু যৌন সুখ অনুভব করবার এইটিই হলো নারীদেহের প্রধান কামকেন্দ্র। সঙ্গমের সময় এইটির উপর নিয়ত ঘর্ষণ লাগতে থাকে। তখন ওরই উত্তেজনাতে সর্ব শরীরে যে ঘন ঘন রোমাঞ্চ উপস্থিত হয়, তাকে বলে বেপথু। ওর ছত্রটি তখন আপনাআপনি ছড়িয়ে ফাঁক হয়ে গিয়ে অঙ্কুরের মুখটি উত্তেজিত অবস্থায় আরো ঘর্ষণ লাভের জন্য উন্মুখ হয়ে থাকে। ঐ অঙ্কুর এবং তার চারপাশের ছত্রের ব্যবধানে জামার পকেটের কোনগুলির মতো নানারকম খাঁজ করা আছে। ঐ সব খাজের মধ্যে সূক্ষ্ম সূক্ষ্ম গ্ল্যান্ড থেকে একরকম তৈলাক্ত স্বেদবস্ত নির্গত হয়। তারও ইংরেজী নাম স্মেগমা, যে জিনিসটির কথা পুরুষ লিঙ্গের বেলাতেও একবার বলা হয়েছে। সদ্যনিঃসৃত তাজা অবস্থায় এর একটা মিষ্ট মিষ্ট সিঘ্রাণ আছে। স্ত্রীলোকের সারা অঙ্গে যে বিশেষ একরকম সুগন্ধ টের পাওয়া যায়, যা অনেক সময় পুরুষদের মনে উম্মাদনা আনে, তা সচরাচর এর থেকেই জম্মায়। আমরা যে পদ্মিনী শঙ্খিণী প্রভৃতি নারীদের এক একরকম দেহগন্ধের বর্ণনা শুনে থাকি, তার সঙ্গে এই জিনিসের গন্ধেরই সম্ভবত বিশেষ সম্পর্ক আছে। কিন্তু ঐ স্মেগমার তাজা অবস্থাতেই তার সেই মিষ্ট সদগন্ধটুকু থাকে। স্মেগমা শুকিয়ে বাসি হয়ে লেগে থাকলে দু-একদিনের মধ্যেই সেটা পচে যায় এবং তখন তার থেকে তীব্র একটা দুর্গন্ধ বেরোতে থাকে। শুধু তাই নয়, মেয়েদের মূত্রত্যাগের পরে সেই মূত্র ঢুকে গিএ তারও কিছু কিছু অংশ ঐ পকেটের মতো ঘুঁজি

ভগাস্কুরের আজানা গোপন তথ্য


ভগাস্কুর



সুমুক দিয়ে খানিকটা এসেও ছোট দরজা দুটি খুব পাতলা হয়ে এক জায়গাতে মিলিয়ে গেছে। ঠিক তার উপরেই প্রায় হাতের কাছাকাছি জায়গাতে উচু হয়ে আছে পুরুষের লিঙ্গের অনুকরণের খুব ছোট একটা বোটার মতো ক্লিটরিস থাকে, সংস্কৃতে বলে ভগাংকুর অথবা শিশ্লিকা। পুরুষের লিঙ্গের অনুকরণের তৈরি বলেই ওর উপরেই তেমনি এক চামড়ার ছত্র এ -কে ঘিরে আছে। অনেক সময় এই অঙ্কুরটি এতই ছোট থাকে যে ভালো করে না করলে তা মোটেই দেখা যায় না। কিন্তু দেখানা গেলেও আঙ্গুল দিয়ে নাড়ালে এটি শক্ত একটি বোটার মতো স্পষ্ট টের পাওয়া যায়। এই সামান্য অঙ্গুরের যৌন স্পর্শ সুখ অনুভব করবার শক্তি অনেক বেশী , এমনকি পুরুষের লিঙ্গমুন্ডের চেয়েও বেশী। সামান্য মাত্র মৃদু স্পর্শে এটি উত্তেজিত হয়ে কঠিন হয়ে উঠে। বিস্তর সুক্ষ্ণ -সুক্ষ্ণ নার্ভের অনুভূতি পধান যন্ত্র এখানে এসে জড়ো হয়েছে। পুরুষ লিঙ্গের মতো স্পঞ্জ জাতীয় পদার্থ দিয়ে এটি তৈরি । এবং উত্তেজিত হলে এটিও তেমনি রক্তাধিক্যের ফলে সুপ্ত অবস্থা থেকে কঠিন হয়ে জেগে উঠে। যদিও আকারে খুবই ছোট কিন্তু যৌন সুখ অনুভব করার পক্ষে এইটিই হলো নারী দেহের প্রধান স্থান। সঙ্গমের সময় এটির উপরে ঘর্ষণ লাগলে তখন এই উত্তেজনাতে সর্ব শরীরের যে – ঘন ঘন রোমাঞ্চ উপথিত হয়, তাকে বলে স্পেথ। ওর চর্ম ছত্রটি তখন আপনা আপনি ফাঁক হয়ে যাওয়াতে অংগুরের মুণ্ডটি উত্তেজিত অবস্থায় আরও ঘর্ষণ লাভের সুযোগ পায়। ঐ অংকুরে এবং তার চারিপাশের ছত্রের ব্যবধানে জামার পকেটের মতো কোষগুলির নানারকম খাজ আছে। ঐ সব খাজের মধ্য সুক্ষ্ণ- সুক্ষ গ্রন্থি থেকে এক রকম তৈলাক্ত শ্বেত বস্ত নির্গত হয়। তার ইংরেজী নাম শ্লেগমা – যে জিনিসটির কথা পুরুষ লিঙ্গের বেলাতে একবার বলা হয়েছে। সদ্য নিঃসৃত তাজা অবস্থায় এর একটা মিষ্টি ধরণের সুঘ্রাণ আছে! স্ত্রী লোকের সারা অঙ্গে যে বিশেষ এক রকমের সুগন্ধ টের পাওয়া যায় , তাযা অনেক সময় পুরুষদের উম্নাদনা আনে, যাহা সচরাচর এর থেকেই জন্মায়। আমরা যে পদ্নিনী, শঙ্খিনী প্রভৃতি নারীদের এক রকম দেহ গন্ধের বর্ণনা শুনে থাকি, তার সঙ্গে এই জিনিসের গন্ধেরই সম্ভবত বিশেষ সম্পর্ক আছে। কিন্তু ঐ শ্লেগমা শুকিয়ে বাসি হয়ে জড়িয়েই থাকলে দু একদিনের মধ্যে সেটা পচে যায় এবং তখন তা থেকে তীব্র একটা দুর্গন্ধ বেরোতে থাকে। শুধু তাই মেয়েদের মুত্রত্যাগের পরে সেই মুত্র ওখানে ঢুকে যায় এবং শ্লেগমার সঙ্গে মিশে গিয়ে সেটিকে আরও বেশী দুর্গন্ধ যুক্ত করে। মেয়েদের মধ্যে অনেকে মনে করতে পারে যে অঙ্গটি সর্বক্ষণ ঢাকাই রয়েছে। সেখানে অমন একটি দুর্গন্ধ থাকলে ও বিশেষ ক্ষতি নেই। কিন্তু ওর দ্বারা অনিষ্ট ঘটবারও যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে। এইটা বুজে ঐস্থানের প্রত্যেকটি অংশ সর্বদাই পরিস্কার রাখা দরকার। যৌননোদগমের আগেই মেয়েদের প্রত্যেককে এ সম্বন্ধে বিশেষ করে শখিয়ে দেওয়া উচিৎ।

নারীদের গুপ্ত অঙ্গের কথা

নারীদের গুপ্ত অঙ্গের কথা


পুরুষের পক্ষে যেমন তার মুল যৌন যন্ত্র হলো দুটি মুস্ক নারীদের পক্ষে দুটি শরীরের দিকে অণ্ডকোষের মধ্যে থাকে বলে সেগুলিকে দেখা যায় না। আর ডিম্বাশয় দুটি তাদের তলপেটের মধ্যে লুকায়িত থাকে বলে সেগুলিকে দেখা যায় না। এই দুটি ও মুস্কের মতোই একই রূপ এবং এরই দ্বারা নারীদের বিকাশ ঘটে। আবার এরই দ্বারা ভবিষ্যৎ সন্তানের মাতৃবীজ বা ওভারি উৎপাদিত হয়। এই দুটি ওভারি বা ডিম্বাশয় ছাড়া নারী দেহে আরও যে সব যৌন অংগাদির সংস্থান আছে সেগুলি ওরই আনুষাঙ্গিক ।তার মধ্যে কতক গুলি বাহ্যিক যৌন ক্রিয়ার উপযোগী , আর কতগুলি আভ্যন্তরীন এবং ধারণের উপযোগী। মেয়েদের যৌন যন্ত্রগুলির একটা বৈচিত্র এই যে সেগুলি কুমারী অবস্থায় থাকে এরকম। যৌবন অবস্থায় থাকে অন্য রকম; সন্তান গর্ভাবস্থায় থাকে এক রকম। সন্তান জন্মের পরে থাকে অন্য রকম। আর শেষ বয়সের যৌনক্রিয়া বিবর্জিত অবস্থায় থাকে এক রকম। এই পাচ রকম বিভিন্ন অবস্থার মধ্যে যৌননোদগম ও তার পরবর্তী অবস্থাই পস্থিত ক্ষেত্রে আমাদের বিশেষ ভাবে আলোচ্য বিষয়। মেয়েদের যৌন স্থানকে মোট দুই ভাবে ভাগ করা যায়। তার মধ্যে কতক গুলি বাইরে দেখা যায় বলে -প্রকাশ্য। আর কতক গুলি ভিতরে আছে বলে-অপ্রকাশ্য। কিন্তু বাইরের দিকে মেয়েদের যৌনির যেটুকু দৃশ্য তাও দাঁড়ানো অবস্থায় বাইরে থেকে সহজে দেখা যায় না। শুধু তল পেটের নীচে দেখা যায় মাত্র একটু মেদ মাংসময় স্থান, যার নাম কালাদ্রি। এর নীচে দুই পাশের মাংসাদির দ্বারা চাপা থাকে গুহ্যদ্বার। উত্তান অবস্থায় অর্থাৎ চিৎ হয়ে শুয়ে পা দুটি ফাঁক করলে তবেই তার প্রবেশ দ্বারটুকু ভালো ভাবে দেখা যায়। এই অবস্থায় দেখলে প্রথমে নজরে কুচকির দুইটি খাজের মধ্যবর্তী স্থান কোষের মতো উচু- উচু দুটি দুটি মাংস মেদের স্তবক , নরম চমড়া দিয়ে আবৃত এবং সেই দুটির মাঝ খানে লম্বা একটি ফাটল । ফাটলের অন্তরালে কি আছে, মাংস স্তবক দু,টি দু পাশ থেকে ফাঁক না করে তা দেখার উপায় নেই। একেই বলে নারীর উপস্থদেশ। এই স্তবকের চামড়ার উপর ইতস্তত অল্প- বিস্তর লোম গজিয়ে থাকে। যৌনিতে প্রবেশ পথের গোড়াতেই কপাট্র দুটি বদ্ধ পাল্লার মতো, এই লোমযুক্ত স্তবক দুটি ভিতরের দৃশ্যকে আড়াল করে আছে। এর ইংরেজী নাম লেবি মেজর, বাংলায় বলা যেতে পারে বড়ো দরজা। এই বড়ো দরজা ফাঁক করে ধরলেই তার পিছনে দেখা যাবে আবার দুটি লেবিয়া মাইনর, অর্থাৎ ছোট দরজা। এই দুটি দরজা বড়ো দরজার চেয়ে অনেক নরম চামড়ার তৈরি এবং দেখতেও পাতলা। আসলে বড়ো দরুজা দিয়ে ঢাকা , কিন্তু এই দুটি ঝিল্লি দিয়ে ঢাকা। এই দুই জোড়া পিঠের দিকে অর্থাৎ গুহ্য দেশের দিকে খানিকটা পর্যন্ত গিয়ে সেখানকার পাতলা চামড়া সংগে মিশে গেছে। এখানেই হলো যৌনির শেষ প্রান্ত এই স্থানটিকে বলে মুলদ্বার। এর পর থেকে আরও পিছনে মূলদ্বার যে পর্যন্ত চামড়া ঢাকা স্থানটুকু , তার পর মূলদ্বার। শুধু কুমারী অবস্থাতেই ঐ মুলদ্বার পীঠ স্পষ্ট সীমা রেখার মতো দেখা যায়। বহুবার সঙ্গমের পর কিংবা সন্তান প্রসবের পর সেটি মুলধারের চামড়ার সঙ্গে মিলিয়ে যায়।

যে ভাবে যৌনাঙ্গ দীর্ঘায়িত করতে হয়

যে ভাবে যৌনাঙ্গ দীর্ঘায়িত করতে হয়

উপাদান পরিমাণ গন্ধক ফল পরিমাণ মত পিপুঁলদার সমপরিমাণ খাঁটি মধু সমপরিমাণ প্রথম দু’টি উপাদান একত্রে পিষে খাঁটি মধুর সাথে মিশিয়ে পুরুষাঙ্গে মালিশ করবে। অতঃপর একঘন্টা পর গরম পানি দ্বারা ধুয়ে ফেলবে। যাদের পুরুষাঙ্গ ছোট তাদের জন্য এটি খুব উপকারী।

পুরুষাঙ্গে যেসব ঔষধ ব্যবহার করতে হয়

পুরুষাঙ্গে যেসব ঔষধ ব্যবহার করতে হয়

পুরুষাঙ্গের দুর্বলতা দূর করার জন্য যেমন ঔষধ খেতে হয়, তদ্রুপ ভাবে পুরুষাঙ্গের শিরা, উপশিরা, ধমনি সবল ও শক্তিশালী বানাতে মালিশকৃত ঔষধের প্রয়োজনীয়তা আবশ্যক। এরূপ একটি শাহি মালিশ তেলের বিবরণ নিচে দেওয়া হল- উপাদান পরিমাণ হলুদ রঙের বেগুন ১ টি লবঙ্গ ৬০টি তিলের তেল আধা কিলো শুকনা জোঁক ৬ তোলা ছিলানো গমের আটা ৫ তোলা যেভাবে বানাতে হবেঃ বড় একটি বেগুন যা গাছে থাকতে থাকতে পেকে হলুদ রঙের হয়ে গেছে। এরকম একটি বেগুন ভেঙ্গে তার চারদিকে ৬০ টি লবঙ্গ গেঁথে দিবে। এরপর এ বেগুনকে রোদ্রে না শুকিয়ে বরং ছায়ায় শুকাবে। শুকিয়ে গেলে ছোট একটি কড়াইয়ে আধা কিলো তিলের তেল ঢেলে নিমের লাকড়ি দিয়ে আগুণে হালকা গরম করবে। অতঃপর সে বেগুনটিকে কড়াইয়ে দিয়ে হালকভাবে নাড়াচাড়া করে মিশিয়ে ফেলবে। যখন বেগুনটি তেলের সাথে সম্পূর্ণভাবে মিশে যাবে, তখন তাতে ছয় তোলা পরিমাণ শুকনো জোঁক ছেড়ে দিয়ে মিশিয়ে ফেলবে। অতঃপর তাতে ছিলানো গমের ৫ তোলা আটা ঢেলে দিবে। সব কিছু ঠিকঠাক মিলানোর পর কড়াইটি চুলা থেকে নিচে নামিয়ে ভালোভাবে নারাচাড়া করবে। যেন সবগুলো উপাদান একে অপরের মধ্যে প্রবেশ করে। সবশেষে এ ঔষুধ শিশিতে সযত্নে রেখে দিবে। প্রয়োজনের সময় দুই মাশা পরিমাণ বা এক আঙ্গুল পরিমাণ পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগে এমনভাবে মালিশ করবে যেন পুরুষাঙ্গের শিরাগুলো সে তেলকে চুষে নেয়। তারপর রেড়ের পাতা দিয়ে বেঁধে দিবে। বার দিন এরূপ করতে পারলে অবশ্যই সে পূর্ণাঙ্গ ভাবে সুস্থ হয়ে যাবে। ইনশাআল্লাহ….. বি.দ্র. এ তৈল প্রস্তুতের ক্ষেত্রে অবশ্যই বিজ্ঞ হাকীমের স্মরণাপন্ন হবে।

মানুষের জন্য খৎনা করা জরুরী ও উপকারী

মানুষের জন্য খৎনা করা জরুরী ও উপকারী

সুপারীর উপরে টুপির মতো চামড়া কর্তন করাকে মুসলমানী বা খৎনা বলে। এ খৎনা করা সব ধর্মের মানুষের জন্য খুবই উপকারী ও প্রয়োজনীয়। এ খৎনার কারণে অনেক রোগ ব্যাধি থেকে মুক্ত থাকা যায়। যৌনাঙ্গ সংক্রান্ত কঠিন রোগ ইহুদী-খৃষ্টানদের তুলনায় মুসলমানদের মাঝে কম পাওয়ার এটিও একটি কারণ। এজন্য বর্তমানে তারাও খৎনা করাকে আবশ্যক মনে করে। খৎনা করার দ্বারা যতগুলো উপকারীতা রয়েছে, তন্মধ্যে একটি হলো, দুর্গন্ধযুক্ত আর্দ্রতা যা চামড়ার নিচে জমা হতো, সেটি আর জমা না হওয়াতে দুর্গন্ধ ও ক্ষত সৃষ্টির সম্ভবনা থাকে না। আর পুরুষাঙ্গ খুবই সূক্ষ্ম শিরা ও ধমনি দিয়ে আবৃত, যার দ্বারা যৌনাঙ্গে অনুভূতি শক্তি অনেক প্রখর হয়ে থাকে।

পুরুষাঙ্গ আকার বড় করার উপায়

পুরুষাঙ্গ আকার বড় করার উপায়


তিনটি ব্যায়াম পুরুষাঙ্গ বড় হওয়া নির্ভর করে এতে রক্তেরচাপ কেমন থাকে। corpora kevarnosa নামের পাইপ সদৃশ গহ্বরটিতে কি পরিমাণ রক্ত এসে চাপ সৃষ্টি করে সেটাই পুরুষাঙ্গের বিশালত্ব এবং ক্ষুদ্রত্ব নিয়ন্ত্রক । পুরুষাঙ্গ একটি মাংসপেশি । অন্য সবমাংস পেশি যেমন ব্যায়াম করলে বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয় তেমনি এটাও ব্যায়ামের মাধ্যমে বাড়াতে হবে । আর ব্যায়াম চালু না রাখলে যেমন মাংস পেশি শুকিয়ে যায় তেমন এটাও কমে যাবে । কিছু কিছু পেনাইলসার্জারির প্রচলন বিদেশে আছে । তবে তা স্থায়ী কোনকিছু নয় । পেনিস পাম্প এর প্রচলন ও আছে । কিন্তু ব্যায়ামের চেয়ে ভাল কিছু আর নেই । ব্যায়ামের প্রসঙ্গে আসি। তিন ধরনের ব্যায়াম আছে । ১. শেকিং ,২.জেল্কিং ,৩.স্ট্রেচিং বর্ণনা শেকিং ১.প্রথমে আপনার পেনিস টাকে গোড়ারদিকে দুই আঙ্গুলে ধরুন (শিথিল অবস্থায়) ২.এরপর সেটাকে আস্তে আস্তে ঝাঁকাতে শুরু করুন ৩.আস্তে আস্তে ঝাঁকানোর গতি বাড়ান ৪.এভাবে একটানা ২০০-২৫০ বার ঝাঁকান ৫.মাঝে মাঝে আপনার ইরেকশনহতে পারে ৬.ইরেকশন হলে পেনিস্ কে শিথিল হওয়ার জন্য কিছু সময় দিন ৭.তারপর আবার করুন ৮.এভাবে দিনে দুইবার করুন ৯. এটা করার সময় আপনার হস্তমৈথুনের ইচ্ছা জাগতে পারে । ইচ্ছাটাকে পাত্তা দিবেন না ১০. এটা করার সময় যদি হস্তমৈথুন করেনতাহলে ব্যায়াম করা আর না করা সমানকথা । ১১. যদি ২০০-২৫০ বারের আগেই বীর্য বেরিয়ে যেতে চায় তাহলে থামুন । উত্তেজনা প্রশমিত হলে আবার করুন ১২. এটা করলে আপনার পুরুষাঙ্গে রক্তসঞ্চালন আশাতীত ভাবে বাড়বে । ১৩. একটু কষ্ট করে হলেও এক্সারসাইজচালুরাখুন । বাদ দেবেন না । জেল্কিং ১.প্রথমে পেনিস কে পানিতে ধুয়ে নিনএবং মুছে ফেলুন । ২.এরপর খানিকটা ক্রিম বা জেল জাতীয়পিচ্ছিল জিনিস, (তেল জাতীয় জিনিসহলেও হবে) যোগাড় করুন । ৩. এটি পেনিসে ভালভাবে মাখান(শিথিল অবস্থায়) ৪. এবার বুড়ো আঙ্গুল এবং তর্জনীরসাহায্যে ”ok” সাইন এর মত করুন ৫.এবার এই ””ok” সাইন দিয়ে পেনিসেরগোড়া ধরুন ( একটুজোরে চেপে ধরতে হবে) ৬. এবার আস্তে আস্তে ভেতরথেকে বাইরের দিকে মর্দন করুন ৭. জিনিসটা অনেকটাই হস্তমৈথুনের মতই। কিন্তু খেয়াল রাখবেন এটা শুধু পেনিসেরগোঁড়া থেকে অগ্রভাগের দিকে ।উল্টা দিকে করবেন না । ৮.এভাবে ৩০-৪০ বার করুন । দিনে দুইবার । ৯. এটি করার সময় আপনি নিজেই টেরপাবেন যে আপনার লিঙ্গমুণ্ডে রক্তেরচাপ বাড়ছে । ১০.মাঝে মাঝে আপনার ইরেকশনহতে পারে ১১.ইরেকশন হলে পেনিস্ কে শিথিল হওয়ার জন্য কিছু সময় দিন ১২. এটা করার সময় আপনার হস্তমৈথুনেরইচ্ছা জাগতে পারে । ইচ্ছাটাকে পাত্তা দিবেন না ১৩.এটা করার সময় যদি হস্তমৈথুন করেন তাহলে ব্যায়াম করা আর না করা সমানকথা । ১৪. যদি ৩০-৪০ বারের আগেই বীর্য বেরিয়ে যেতে চায় তাহলে থামুন । উত্তেজনা প্রশমিত হলে আবার করুন। ১৫. এটি করার সময় লিঙ্গমুণ্ডে সামান্য সাময়িক ব্যাথা বোধ হতে পারে । এছাড়া আপনি দেখবেনলিঙ্গমুণ্ডকে লাল হয়ে ফুলে উঠতে ।রক্তের চাপের কারনে এমন হয় স্ট্রেচিং ১. প্রথমে লিঙ্গমুণ্ড পাঁচআঙ্গুলে সামনে থেকে চেপে ধরুন। ২. এবার এটাকে সামনেরদিকে টেনে ধরুন। ৩. এমনভাবে ধরে রাখুনযাতে পিছলে না যায়। ৪. এভাবে ২০ সেকেন্ড ধরে রাখুন ৫. ২০ সেকেন্ড পর ছেড়ে দিন ৬. এভাবে একটানা ২০ বার করুন (দিনে ২বার) ৭.মাঝে মাঝে আপনার ইরেকশনহতে পারে ৮.ইরেকশন হলে পেনিস্ কে শিথিল হওয়ারজন্য কিছু সময় দিন ৯.তারপর আবার করুন ১০.এর ফলে ধীরে ধীরে আপনার পুরুষাঙ্গদীর্ঘতায় বাড়বে যে তিনটি ব্যায়ামের কথা বলা হয়েছে সেগুলো একত্রে প্রতিদিন দুইবার করে করুন । একসাথে না করলে লাভের সম্ভাবনা কম । এক্সারসাইজের সময় হস্তমৈথুন করবেন না প্লিজ । হস্তমৈথুন করলে ব্যায়াম করার কোন দরকার ই নাই । কারন তাতে কোনলাভ হবেনা।-সূত্রঃ ইন্টারনেট

পুরুষাঙ্গের পরিচয়

পুরুষাঙ্গের পরিচয়


যে অঙ্গের মাধ্যমে যৌনসম্ভোগের কাজটি সম্পাদন করা হয়, তাকে পুরুষাঙ্গ বা প্রজনন যন্ত্র বলা হয়। এ অঙ্গের বিশেষ বৈশিষ্ট হলো, এর দ্বারা যৌন সম্ভোগের কাজ সমাধা করা যায়। অর্থাৎ বীর্য ভান্ডারের স্থান পরিবর্তনের কাজটি স্বাদ ও প্রফুল্লতার সাথে সসম্পাদন হয়ে থাকে। জ্ঞাতব্য বিষয় হলো যে, পুরুষাঙ্গের প্রসারতার শক্তি অন্তর থেকে হয়ে থাকে। আর তার উপলদ্ধি হয় ধমনির দ্বারা। তার খাবার যোগায় কলিজা থেকে। কলিজা ও মস্তিঙ্ক থেকে পরস্পর মিলনের ইচ্ছা শক্তি জাগে। যৌনাঙ্গে উপলদ্ধি অনেক ভাবেই হতে পারে। পুরুষাঙ্গের লাল বর্ণের শিরা, কালো বর্ণের শিরাগুলো উত্তেজনায় ছটফট করতে থাকে। পুরুষাঙ্গের প্রসারতা, শক্তি ও অনূভূতি শিরা ও ধমনি বেশি হওয়ার কারণে হয়ে থাকে। পুরুষাঙ্গের প্রথম অংশ তথা মাথা দেখতে খোসাবিহীন সুপারির মতো গোলাকার। সেজন্য তাকে সুপারীও বলা হয়ে থাকে। পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগে পেশাবের জন্য ছিদ্র রয়েছে।

পুরুষের যৌন অঙ্গ সমূহ

পুরুষের যৌন অঙ্গ সমূহ


স্বামীকে যৌন মিলনের সময়ে সর্বোচ্চ সুখ দিতে স্বামীর যৌন অঙ্গ সমূহকে চেনা অত্যন্ত জরুরী। আমাদের দেশের বেশিরভাগ মেয়েই পুরুষের যৌন অঙ্গসমূহ চেনার কোন সুযোগ পায় না। ফলে এই সম্পর্কে থেকে যায় সম্পূর্ণ অজ্ঞ। নিচে পুরুষের যৌন অঙ্গ সমূহের বিবরণ সংক্ষেপে দেওয়া হলোঃ পুরুষাঙ্গঃ পুরুষাঙ্গ বা লিঙ্গ পুরুষের যৌন অঙ্গসমূহের নায়ক এবং সকল মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দু। পুরুষের লিঙ্গ মূত্র ত্যাগ এবং যৌন মিলন, এই দুই কাজেই ব্যবহৃত হয়। লিঙ্গের অগ্রভাগ, যেখানে প্রশ্রাবের ছিদ্র উন্মুক্ত হয়, সেই প্রান্তটি অধিক সংবেদনশীল, এবং তা একটি অত্যন্ত নমনীয় চামড়ার ঢাকা থাকে। এই চামড়াটি যৌন উত্তেজনার সময় লিঙ্গের গোড়ার দিকে সরে গিয়ে পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগ বা মুন্ডি উনুক্ত হয়ে যেতে পারে। মুসলিম পুরুষেরা অবশ্য মুসলমানি করার সময় এই বাড়তি চামড়াটুকু কেটে ফেলে,ফলে তাদের লিঙ্গ মুন্ডি সর্বদা উন্নুক্তেই থাকে। পুরুষাঙ্গের গোড়ায় কিছু চুল থাকে। পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার জন্য সাধারণত এই চুল কেটে রাখা হয়। পুরুষাঙ্গ নরম অবস্থায় বিভিন্ন আকারের থাকে। এমনকি একই ব্যক্তির পুরুষাঙ্গ নরম অবস্থায় একেক আকারের হয়, এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। যৌন উত্তেজনায় পুরুষাঙ্গ অপেক্ষাকৃত শক্ত হয়ে ওঠে এবং সাধারণত আকারে কিছুটা বড় হয়ে যায়। উত্তেজিত লিঙ্গের আকার নিয়ে যদিও পুরুষের চিন্তার অন্ত নেই, তারপরও প্রায় সকল আকারের লিঙ্গ দ্বারাই পরিপূর্ণ সফল মিলন সম্ভব। অন্ডথলিঃ দুইটি অণ্ডকোষের সমন্বয়ে তৈরি অণ্ডথলিটি পুরুষাঙ্গের পেছনে ঝুলত অবস্থায় থাকে। এই অণ্ডকোষদ্বয় অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং অতি অল্প আঘাতেই মারাত্মক ব্যথা অনুভূত হয়। সাধারণত গরমের সময় ঝুলে থাকে। এবং ঠান্ডা অবস্থায় সংকুচিত হয়ে উপরে উঠে আসে। যৌন উত্তেজনার সময়েও অন্ডথলি সংকুচিত হয়ে উপরে উঠে আসে। এবং পুরুষের মিলনের শেষ পর্যায়ে বীর্যপাতের সময় সর্বাপেক্ষা সংকুচিত হয়ে পুরুষাঙ্গের গোড়ার কাছে উঠে আসে। অভ্যন্তরীণ অঙ্গসমূহঃ এই অঙ্গসমূহ ছাড়াও পুরুষের অণ্ডকোষ থেকে উৎপন্ন বীর্য সিংরক্ষণের জন্য রয়েছে এপিডিডাইমিস নামক নালিকা। যৌন মিলনের সময়ে বীর্য পরিবহনের জন্য রয়েছে সেমিনাল ভেসিকল নামক নালিকা। পুরুষের যৌন উত্তেজনা মূলত লিঙ্গ কেন্দ্রিক। যৌন উত্তেজিত হলে পুরুষাঙ্গ শক্ত হয়ে উঠে। এই পুরুষাঙ্গের দ্বারাই পুরুষ তাঁর যাবতীয় যৌন কাজ করে থাকে।

দাম্পত্য বাঁচাতে মাসে অন্তত ১১ বার...

দাম্পত্য বাঁচাতে মাসে অন্তত ১১ বার...


সদ্য বিবাহিত দম্পতিদের দাম্পত্য বাঁচাতে ও সংসারে সুখ-শান্তি অব্যহত রাখতে মাসে অন্তত ১১বার মিলিত হওয়া উচিত বলে একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস টাইমস।


রিপোর্টে বলা হয়েছে, স্ত্রীকে খুশি রাখতে মাসে অন্তত ১১বার মিলিত হওয়া উচিত দম্পতিদের। কারণ, সমীক্ষা বলছে, সুখী দম্পতিরা মাসে অন্তত ১১ বার মিলিত হন, অন্যদিকে সে তুলনায় বিবাহিত জীবনে যে দম্পতিরা অখুশি, তারা মাসে মাত্র চার থেকে পাঁচবার মিলিত হন।

রিপোর্টে আরও বলা হয়, বিয়ের প্রথম দু’বছর কেটে যাওয়ার পর দম্পতিদের জীবন খানিকটা থমকে যায়। বিয়ের পর যে উদ্দামতার সঙ্গে স্বামী-স্ত্রী মিলিত হন, সেই জোশ থাকে না। কিন্তু এটা একেবারেই করা উচিত নয়। দম্পতিদের মধ্যে খুনসুটি ও রোম্যান্স আগের মতোই থাকা উচিত।

সাইকোথেরাপিস্ট গ্যারি নুম্যান বলছেন, রোজকার একঘেয়ে জীবনযাপন, বিল মেটানো, সন্তানের অসুস্থতা, কম ঘুমের কারণে এমনিতেই স্বামী-স্ত্রীয়ের মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকে। দম্পতিদের মধ্যে ঝগড়া মেটাতে মিলন ম্যাজিকের মতো কাজ করে

চিকেন-এর দুই পদ

চিকেন-এর দুই পদ


ঘরেই তৈরি করে নিন মজাদার গ্রিল চিকেন। গ্রিল চিকেন তৈরি করতে লাগবে, মুরগির মাংস ২ কেজি, আদা বাটা ১ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ১ টেবিল চামচ, মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, ধনিয়া গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, জিরা ভেজে গুঁড়া করা ১ চা চামচ, গরম মসলা গুঁড়া ১ টেবিল চামচ, কাবাব মসলা ১ টেবিল চামচ, সরিষার তেল ৪ টেবিল চামচ, টমেটো সস ১/২ কাপ, টক দই এক কাপ, লবণ পরিমাণ মতো, সয়াবিন তেল ভাজার জন্য।

প্রণালি
টক দইয়ের সঙ্গে সমস্ত মসলা ও সরিষার তেল ভালো করে মিশিয়ে রেখে দিন ৩০ মিনিট। এরপর মুরগি ধুয়ে টুকরো করে কাঁটা চামচ দিয়ে কেঁচে নিন অথবা ছুরি দিয়ে দাগ কেটে দিন। এতে মসলা ঢুকবে সহজেই। এবার মুরগির মাংসের গায়ে ভালো করে মসলা ডলে ডলে মাখান। ২/৩ ঘণ্টা মেরিনেট করে রাখুন। এবার নন-স্টিক প্যানে সয়াবিন তেল ব্রাশ দিন। প্যানে তেল গরম হয়ে গেলে মুরগির টুকরোগুলোকে মাঝারি আঁচে ভাজুন। এক পাশ হয়ে গেলে উল্টে আরেক পাশ দিন ও প্যানে ভাজলে এই সময়ে ঢাকনা দিয়ে দিন। এতে খুব ভালো নরম হবে। মাঝে মাঝে মসলা ব্রাশ করে দিন।
দুই পাশ ভালো করে ভাজা হলে ও মাংস নামিয়ে ফেলুন। এবার লুচি, পরোটা, নান রুটি অথবা পোলাওয়ের সঙ্গে সস/চাটনি দিয়ে পরিবেশন করুন মজাদার গ্রিল চিকেন।
....

মজাদার পেরি পেরি চিকেন নিজে তৈরি করতে চাইছেন, কিন্তু রেসিপি জানা নেই! এই নিন আপনার জন্যই মজাদার পেরি পেরি চিকেন রেসিপি।

যা যা লাগবে
মুরগি মাঝারি আকারের ১টি, পেরি পেরি সস ১ কাপ, বাটার ১ চা চামচ।

প্রণালি
প্রথমে মুরগি চার টুকরো করে কেটে ভালো করে ধুয়ে নিন। এবার কিচেন টাওয়েল দিয়ে ভালো করে মুছে নিন। পেরি পেরি সস ভালো করে মুরগিতে লাগিয়ে ৬/৭ ঘণ্টা মেরিনেড করে রাখুন। এবার প্যানে ১ চা চামচ বাটার দিয়ে ২/৩ মিনিট মাংসটা ভেজে নিন। মাংসের বেচে যাওয়া সসটা রেখে দিন। এবার প্রি হিটেট ওভেনে ১৮০ ডিগ্রিতে ৩০ থেকে ৪০ মিনিট বেক করুন। মাঝে মাঝে ওভেনের দরজা খুলে বাকি সসটা মাংসের গায়ে ব্রাশ করুন। মাংস সেদ্ধ হলে নামিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন মজার পেরি পেরি চিকেন।

এবার থেকে বউ বকা দেবে ছয় দিন!

এবার থেকে বউ বকা দেবে ছয় দিন!


জনপ্রিয়তা অর্জনে সক্ষম হওয়ায় 'বউ বকা দেয়' শিরোনামে ধারাবাহিক নাটকটি এবার থেকে সপ্তাহে চার দিনের বদলে ছয় দিনই প্রচার করা হবে। নাটকটি পরিচালনা করছেন মারুফ মিঠু। এরমধ্যে ১০০ পর্ব প্রচার হয়েছে ধারাবাহিকটির।

রবি থেকে শুক্রবার রাত ৮টায় কমেডি গল্পনির্ভর এই নাটকটি প্রচার হচ্ছে একুশে টেলিভিশনে। ধারাবাহিকটিতে অভিনয় করছেন আনিসুর রহমান মিলন, মীর সাব্বির, আরফান আহমেদ, সাজু খাদেম, ফারুক আহমেদ, সামিহা সাঈদ, মাসুদ হারুন, পরেশ আচার্য্য প্রমুখ।

১৪ মাস পর কবর খুঁড়ে তোলা হল শিশুর লাশ

১৪ মাস পর কবর খুঁড়ে তোলা হল শিশুর লাশ



পাবনার সাঁথিয়া উপজেলায় ১৪ মাস পর ময়না তদন্তের জন্য সাফিউল্লাহ (৪) নামে এক শিশুর লাশ কবর খুঁড়ে তোলা হয়েছে।  

সোমবার বিকালে উপজেলার আলোকচর গ্রামের কেন্দ্রীয় কবর স্থান থেকে  ওই শিশুর লাশ তোলা হয়। মঙ্গলবার লাশটি ডিএনএ টেস্টের জন্য ঢাকায় পাঠানোর হবে বলে জানা গেছে।

থানা সূত্রে জানা যায়, বিকালে পাবনা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কায়ছারুল ইসলাম, ডাক্তার শারমীন শবনম, পাবনা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ও আতাইকুলা থানা পুলিশের উপস্থিতিতে ওই শিশুর লাশ তোলা হয়।

মৃত শিশু সাফিউল্লাহ আলোকচর গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ১৪ মাস আগে প্রতিবেশী খোরশেদ আলম মাস্টারের বাড়ির পিছনের পুকুর থেকে ওই লাশ ভাসমান অবস্থায় দেখতে পায় এলাকাবাসী।

ময়না তদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করা হয়। কিছুদিন পরেই খোরশেদ আলম মাস্টারের পুকুর পাড়ে বাঁশ ঝাড়ে মাটিতে পুঁতে রাখা শিশু সাফিউল্লাহ ব্যবহার করা স্যান্ডেল পাওয়া যায়। এতে সফিউল্লাহকে হত্যা করা হয়েছিল বলে সন্দেহ করা হয়।

এ ব্যাপারে চাচা মিজানুর রহমান বাদী হয়ে প্রতিবেশী মোখলেছুর রহমানকে প্রধান আসামি করে আতাইকুলা থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা নম্বর-০৩ তারিখ- ০৯/১০/২০১৬ইং। ধারা ৩৬৪/৩০২/৩৪ দণ্ডবিধি।

পাবনা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক ইসলাম মোবাইল ফোনে বলেন, তকে হত্যা করা হয়েছিল, নাকি পানিতে ডুবে মারা গেছে তা নিশ্চিত হতেই শিশুটির লাশ কবর থেকে তোলা হয়। ডিএনএ টেস্টের জন্য লাশটি ঢাকা পাঠানো হবে।

কালোজিরার পুষ্টি ও ঔষধি গুণ

কালোজিরার পুষ্টি ও ঔষধি গুণ



নবী করিম (সাঃ) মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগ আরোগ্যকারী ওষুধ সম্পর্কে জ্ঞান দান করেছেন- "তোমাদের জন্য 'সাম' ব্যতীত সকল রোগের আরোগ্য রয়েছে কালো জিরায়। আর সাম হলো মৃত্যু।" সুতরাং কালো জিরা হোক আমাদের নিত্য সঙ্গী। সু-স্বাস্থ্য অর্জনে ও সংরক্ষনে কালোজিরা জাত ওষুধ গ্রহনে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা জটিলতা সৃষ্টি করে না।

সর্ব রোগের মহৌষধ হোমিওপ্যাথিক ও দেশীয় চিকিৎসায় সহযোগী ওষুধ রূপে এর ব্যবহার।

কালোজিরায় কি আছেঃ
এর মধ্যে রয়েছে ফসফেট, লৌহ,ফসফরাস, কার্বো-হাইড্রেট ছাড়াও জীবাণু নাশক বিভিন্ন উপাদান সমূহ। এতে রয়েছে ক্যন্সার প্রতিরোধক কেরোটিন ও শক্তিশালী হর্মোন, প্রস্রাব সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধকারী উপাদান, পাচক এনজাইম ও অম্লনাশক উপাদান এবং অম্লরোগের প্রতিষেধক।

রোগপ্রতিরোধক :
মস্তিষ্ক, চুল, টাক ও দাঁদ, কান, দাত, টনসিল, গলাব্যথা, পোড়া নারাঙ্গা বা বিসর্গ, গ্রন্থি পীড়, ব্রণ, যাবতীয় চর্মরোগ, আঁচিল, কুষ্ট, হাড়ভাঙ্গা, ডায়াবেটিস, রক্তের চাড় ওকোলেষ্টরেল, কিডনী, মুত্র ওপিত্তপাথরী, লিভার ও প্লীহা, ঠান্ডা জনিত বক্ষব্যাধি, হৃদপিন্ড ও রক্তপ্রবাহ, অম্লশূল বেদনা, উদরাময়, পাকস্থলী ও মলাশয়, প্রষ্টেট, আলসার ও ক্যান্সার। চুলপড়া, মাথাব্যথা, অনিদ্রা, মাথা ঝিমঝিম করা, মুখশ্রী ও সৌন্দর্য রক্ষা, অবসন্নতা-দুর্বলতা, নিষ্কিয়তা ও অলসতা, আহারে অরুচি, মস্তিষ্কশক্তি তথা স্মরণশক্তি বাড়াতেও কালোজিরা উপযোগী। কালোজিরার যথাযথ ব্যবহারে দৈনন্দিন জীবনে বাড়তি শক্তি অর্জিত হয়। এর তেল ব্যবহারে রাতভর আপনি প্রশান্তিপুর্ন নিদ্রা যেতে পারেন। রোগপ্রতিরোধক কালো জিরা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

ওষুধ প্রস্তুতঃ
আগেই বলেছি-আমরা কালো জিরার টীংচার,বড়ি ও তেল ওষুধ হিসেবে ব্যবহার করছি।কখনো এককভাবে কখনো অন্য ওষুধের সাথে সংমিশ্রিত করে রোগীক্ষেত্র প্রয়োগ করে থাকি।কালোজিরা তেলের সাথে জলপাই তেল, নিম তেল, রসুনের তেল, তিল তেল মিশিয়ে নেয়া যায়। কালোজিরা আরক+কমলার রস

ব্যবহারঃ
কালোজিরা + পুদিনা চায়ের সাথে কালোজিরা কালোজিরা + রসুন + পেঁয়াজ কালোজিরা + গাজর

মাথাব্যথাঃ
মাথা ব্যথায় কপালে উভয় চিবুকে ও কানেরপার্শ্ববর্তি স্থানে দৈনিক ৩/৪বার কালোজিরা তেল মালিশ করূন। ৩ দিন খালি পেটে চা চামচে এক চামচ করে তেল পান করুন।পাশাপাশি লক্ষণসাদৃশ্যে হোমিওপ্যাথি ওষুধ নির্বাচন করূর। সচরাচর মাথাব্যথায় মালিশের জন্য রসুনের তেল, তিল তেল ও কালোজিরা তেলের সংমিশ্রণ মাথায় ব্যবহার করুন। হোমিওপ্যাথিক ওষুধ ন্যাট্রম মিউর ও ক্যালকেরিয়া ফসের মধ্যে লক্ষণ মিলিয়ে একটা হোমিওপ্যাথিক ও অপরটা বায়োকেমিক হতে প্রয়োগ করুন। প্রয়োজনবোধে প্রথমে বেলেডোনা ব্যবহার করে নিতে পারেন।

চুলপড়াঃ
লেবু দিয়ে সমস্ত মাথার খুলি ভালোভাবে ঘষুণ। ১৫ মিনিট পর শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন ও ভালোভাবে মাথা মুছে ফেলুন। তারপর মাথার চুল ভালোভাবে শুকানোর পর সম্পুর্ন মাথার খুলিতে কালোজিরা তেল মালিশ করুন। ১ সপ্তাতেইচুলপড়া বন্ধ হবে।মাথার যন্ত্রনায় কালোজিরার তেলের সাথে পুদিনার আরক দেয়া যায়।এক্ষেত্র পুদিনার টীংচার রসুনের তেল, তিলতেল, জলপাই তেল ও কালোজিরা তেল একসাথে মিশিয়েও নেয়া যেতে পারে।

কফ ও হাঁপানীঃ
বুকে ও পিঠে কালোজিরা তেল মালিশ। এক্ষেত্রে হাঁপানীতে উপকারী অন্যান্য মালিশের সাথে এটা মিশিয়েও নেয়া যেতে পারে।রীতিমতো হোমোওপ্যাথিক ওষুধ আভ্যন্তরীন প্রয়োগ।

কিডনির পাথর ও ব্লাডারঃ
২৫০ গ্রাম কালো জিরা ও সমপরিমান বিশুদ্ধ মধু। কালোজিরা উত্তমরূপে গুড়ে করে মধুর সাথে মিশ্রিত করে দুই চামচ মিশ্রন আধাকাপ গরম পানিতে মিশিয়ে প্রতিদিন আধা চা কাপ পরিমাণ তেলসহ পান করতে হবে। কালিজিরার টীংচার মধুসহ দিনে ৩/৪ বার ১৫ ফোটা করে সেবন। পযায়ক্রমে বার্বারিস মুল আরক বা নির্দেশিত হলে অন্য কোন হোমিও অথবা বায়োকেমিক ওষুধ পাশাপাশি।

মেদ ও হৃদরোগ/ধমনী সংকোচনঃ
চায়ের সাথে নিয়মিত কালোজিরা মিশিয়ে অথবা এর তেল বা আরক মিশিয়ে পান করলে হৃদরোগে যেমন উপকার হবে, তেমনি মেদ ও বিগলিত হবে।

অ্যাসিডিটি ও গ্যাসষ্ট্রিকঃ
এককাপ দুধ ও এক বড় চামচ কালোজিরা তেল দৈনিক ৩বার ৫-৭ দিন সেবনে আরোগ্য হয়। চোখেরপীড়াঃ রাতে ঘুমোবার আগে চোখের উভয়পাশে ও ভুরূতে কালোজিরা তেল মালিশ করূন এবং এককাপ গাজরের রসের সাথে একমাস কালোজিরা তেল সেবন করুন। নিয়মিত গাজর খেয়ে ও কালোজিরা টীংচার সেবনে আর তেল মালিশে উপকার হবে। প্রয়োজনে নির্দেশিত হোমিও ও বায়োকেমিক ওষুধ সেবন।

সৌন্দর্যবৃদ্ধিঃ
অলিভ অয়েল ও কালোজিরা তেল মিশিয়ে অঙ্গে মেখে ১ ঘন্টা পর সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলন।

উরুসন্ধিপ্রদাহঃ
স্থানটি ভালভাবে সাবান দিয়ে ধুয়ে নিয়ে ৩দিন সন্ধায় আক্রান্ত স্থানে কালোজিরা তেল লাগান সন্ধ্যায়, সকালে ধুয়ে নিন।

ছুলি/শ্বেতীঃ
আক্রান্ত স্থানে আপেল দিয়ে ঘষে কালোজিরা তেল লাগান। ১৫দিন হতে ১মাস।

সকল রোগের প্রতিষেধকঃ
মধুসহ প্রতিদিন সকালে কাল

কালোজিরার ১২টি ঔষধি গুণ

কালোজিরার ১২টি ঔষধি গুণ



কালোজিরাকে আমরা কে না জানি? নামে জিরা হলেও আসলে কিন্তু স্বাদে গন্ধে জিরার সাথে এর কোনও মিল নেই। আর ব্যবহারও জিরার মতন নয়। ইংরেজিতে কালো জিরা "Nijella seed" নামে পরিচিত। বাঙালির পাঁচফোড়ন থেকে শুরু করে সিঙ্গারা আর নানান রকম ভর্তায় কালোজিরা না হলে কি চলে?

আয়ুর্বেদিক, ইউনানি ও কবিজারি চিকিৎসাতেও কালো জিরার ব্যাপক ব্যবহার হয়ে থাকে। মসলা হিসেবেও এর চাহিদা অনেক। কালো জিরার বীজ থেকে তেল পাওয়া যায়, যা মানব শরীরের জন্য খুব উপকারি। এতে আছে ফসফেট,লৌহ,ফসফরাস। এছাড়া এতে রয়েছে ক্যানসার প্রতিরোধক কেরটিন , বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধকারী উপাদান এবং অম্ল রোগের প্রতিষেধক।

আসুন জেনে নেয়া যাক কালো জিরার ঔষধি গুনগুলো -

কালো জিরার তেল মাথা ব্যাথা সারাতে দারুন উপকারী । কালো জিরার তেল কপালে মালিশ করলে এবং তিন দিন খালি পেটে ১ চা চামচ তেল খেলে আরোগ্য লাভ করা যায় ।
চুল শ্যাম্পু করার পর শুকিয়ে নিন। এবার পুরো মাথায় কালো জিরার তেল ভাল মতো লাগান । এক সপ্তাহ নিয়মিত করলে চুল পড়া অনেক কমে যাবে।
যাদের হাঁপানির সমস্যা আছে তারা বুকে ও পিঠে কালো জিরার তেল মালিশ করতে পারেন,উপকার পাবেন।
কালো জিরার তেল ও চূর্ণ ডায়াবেটিসের জন্য উপকারী। নিয়মিত সেবনে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকে ।
চা বা গরম পানির সাথে কালো জিরার তেল মিশিয়ে পান করলে হৃদরোগে যেমন উপকার পাওয়া যায় তেমনি শরীরের বাড়তি মেদও কমে ।
এক কাপ দুধ ও ১ চা চামচ কালো জিরা তেল একসাথে মিশিয়ে দৈনিক পান করুন। পেটে গ্যাসের সমস্যা থাকলে তা কমে যাবে ।
যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে তারা দৈনিক কোন না কোন ভাবে কালো জিরা সেবনের চেষ্টা করুন, কারন কালো জিরা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। গরম ভাতের সাথেও কালো জিরার ভর্তা খেতে পারেন ।
জ্বর হলে সকাল-সন্ধায় লেবুর রসের সাথে কালো জিরার তেল পান করুন । জ্বর দ্রুত সেরে যাবে ।
হাঁটুর ব্যাথা সারাতে রোজ রাতে কালো জিরার তেল হাঁটুতে মালিশ করুন ,হাঁটুর ব্যাথা কমে যাবে ।
ছুলি বা শ্বেতী হলে আক্রান্ত স্থানে আপেলের টুকরো দিয়ে ঘষে নিন,তারপর কালো জিরার তেল লাগান । এভাবে ১৫ দিন থেকে ১ মাস পর্যন্ত লাগান।
কালো জিরা নারী ও পুরুষে উভয়ের যৌন ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে । বিশেষ করে পুরুষদের জন্য খুব উপকারি । নিয়মিত কালো জিরা সেবনে পুরুষত্ব হীনতা থেকে মুক্তি পাওয়া যায় ।
বাতের ব্যাথা সারাতে কালো জিরার তেল নিয়মিত মালিশ করুন ।

কালোজিরা ও কালোজিরা তেলের ব্যবহার

কালোজিরা ও কালোজিরা তেলের ব্যবহার



আমাদের আধুনিক ডাক্তারিশাস্ত্র আর ধর্মীয় অনুভূতি যাই বলি না কেন কালোজিরা সবখানে স্বমহিমায় উজ্জ্বল। তাই বলা হয়েছে, “তোমরা কালোজিরা ব্যবহার কর, নিশ্চয়ই সকল রোগের নিরাময় ইহার মধ্যে নিহিত রয়েছে” -মৃত্যু ছাড়া: (সহীহ বুখারী-১০/১২১) কালোজিরা আমরা সকলেই চিনি। নিমকি বা কিছু তেলে ভাজা খাবারে ভিন্ন ধর্মী স্বাদ আনতে কালোজিরা বেশি ব্যবহার করা হয় থাকে। এছাড়া অনেকেই কালজিরার ভর্তা খেয়ে থাকেন। অনেকে আবার কালোজিরা খেতে পছন্দ করেন না। কিন্তু কালোজিরার ব্যবহার খাবারে একটু ভিন্নধর্মী স্বাদ আনাতেই সীমাবদ্ধ নয়। আয়ুর্বেদিক ও কবিরাজি চিকিৎসাতে কালোজিরার অনেক ব্যবহার হয়। কালোজিরার বীজ থেকে তেল পাওয়া যায়, যা আমাদের শরীরের জন্য খুব উপকারী। জেনে নেয়া যাক কালোজিরা মধ্যে লুকিয়ে থাকা আরও কিছু রহস্য…

কি আছে কালোজিরায়:
কালিজিরার তেলে ১০০টিরও বেশি উপযোগী উপাদান আছে। এতে আছে প্রায় ২১ শতাংশ আমিষ, ৩৮ শতাংশ শর্করা এবং ৩৫ শতাংশ ভেষজ তেল ও চর্বি। কালিজিরার অন্যতম উপাদানের মধ্যে আছে নাইজেলোন,থাইমোকিনোন ও স্থায়ী তেল। এতে আরও আছে আমিষ, শর্করা ও প্রয়োজনীয় ফ্যাটি এসিডসহ নানা উপাদান। পাশাপাশি কালিজিরার তেলে আছে লিনোলিক এসিড, অলিক এসিড, ক্যালসিয়াম, টাশিয়াম, আয়রন, জিংক, ম্যাগনেশিয়াম, সেলেনিয়াম, ভিটামিন-এ, ভিটামিন-বি, ভিটামিন-বি২, নিয়াসিন ও ভিটামিন-সি। এর মধ্যে রয়েছে ফসফেট, লৌহ, ফসফরাস, কার্বো-হাইড্রেট ছাড়াও জীবাণু নাশক বিভিন্ন উপাদান সমূহ। এতে রয়েছে ক্যন্সার প্রতিরোধক কেরোটিন ও শক্তিশালী হর্মোন, প্রস্রাব সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধকারী উপাদান, পাচক এনজাইম ও অম্লনাশক উপাদান এবং অম্লরোগের প্রতিষেধক।

কালোজিরায় যে রাসায়নিক উপাদানগুলো আছে:
অনুদ্বায়ি তেল: লিনোলিক, অলিক, স্টিয়ারিক, লিনোলিনিক,এসিড, প্রোটিন, নিজেলোন, গ্লুটামিক এসিড।এছাড়াও রয়েছে নিজেলিন, পটাসিয়াম, ফসফরাস, কেলসিয়াম, সোডিয়াম, মেগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, কপার, আয়রন, জিংক।

কালো জিরার তেল ব্যবহার বিধি:
নাবিধ ক্ষেত্রে কালোজিরা বা কালোজিরা তেল ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এ সকল ক্ষেত্রসমূহের কিছু উল্লেখ করা হলো।

সর্দি সারাতে :এক চা চামচ কালোজিরার তেল সমপরিমাণ মধু বা এক কাপ রং চায়ের সাথে মিশিয়ে দৈনিক ৩বার সেব্য এবং মাথায় ও ঘাড়ে রোগ সেরে না যাওয়া পর্যন্ত মালিশ করতে হবে। এছাড়া এক চা-চামচ কালোজিরার সঙ্গে তিন চা-চামচ মধু ও দুই চা-চামচ তুলসী পাতার রস মিশিয়ে খেলে জ্বর, ব্যথা, সর্দি-কাশি দূর হয়। সর্দি বসে গেলে কালিজিরা বেটে কপালে প্রলেপ দিন। একই সঙ্গে পাতলা পরিষ্কার কাপড়ে কালিজিরা বেঁধে শুকতে থাকুন, শ্লেষ্মা তরল হয়ে ঝরে পড়বে। আরো দ্রুত ফল পেতে বুকে ও পিঠে কালিজিরার তেল মালিশ করুন।
বিভিন্ন প্রকার চর্মরোগ সারাতে : আক্রান্ত স্থানে ধুয়ে পরিষ্কার করে তাতে মালিশকরে; এক চা-চামচ কাঁচা হলুদের রসের সাথে সমপরিমাণ কালোজিরার তেল সমপরিমান মধু বা এককাপ রং চায়ের সাথে দৈনিক ৩বার করে২/৩ সপ্তাহ সেব্য।
হার্টের বিভিন্ন সমস্যার ক্ষেত্রে :এক চা-চামচ কালোজিরার তেল সহ এক কাপ দুধ খেয়ে দৈনিক ২বার করে ৪/৫ সপ্তাহ সেব্য এবং শুধু কালোজিরার তেল বুকে নিয়মিত মালিশ করতে হবে।
ব্লাড প্রেসারনিয়ন্ত্রনে রাখতে : প্রতিদিন সকালে রসুনের দুটি কোষ চিবিয়ে খেয়ে এবং সমস্ত শরীরে কালোজিরার তেল মালিশ করে সূর্যেরতাপে কমপক্ষে আধাঘন্টা অবস্থান করতে হবে এবং এক চা-চামচ কালোজিরার তেল সমপরিমাণমধুসহ প্রতি সপ্তাহে ২/৩ দিন সেব্য যা ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ রাখে। এছাড়া কালোজিরা বা কালোজিরা তেল বহুমুত্র রোগীদের রক্তের শর্করার মাত্রা কমিয়ে দেয় এবং নিম্ন রক্তচাপকে বৃদ্ধি করে ও উচ্চ রক্তচাপকে হ্রাস করে।
অর্শ রোগ নিরাময়ে :এক চা-চামচ মাখন ও সমপরিমাণ তেল চুরন/তিলের তেল, এক চা-চামচ কালোজিরার তেল সহ প্রতিদিন খালি পেটে ৩/৪ সপ্তাহ সেব্য।
জন্ডিস বা লিভারের বিভিন্ন সমস্যার দূরীকরণে :একগ্লাস ত্রিপলার শরবতের সাথে এক চা-চামচ কালোজিরার তেল দিনে ৩বার করে ৪/৫ সপ্তাহসেব্য।
স্বাস্থ্য ভাল রাখতে:মধুসহ প্রতিদিন সকালে কালোজিরা সেবনে স্বাস্থ্য ভালো থাকে ও সকল রোগ মহামারী হতে রক্ষা পাওয়া যায়।
লিভারের সুরক্ষায়:লিভারের সুরক্ষায় ভেষজটি অনন্য। লিভার ক্যান্সারের জন্য দায়ী আফলাটক্সিন নামক বিষ ধ্বংস করে কালিজিরা।
শান্তিপূর্ণ নিদ্রার প্রয়োজনে: তেল ব্যবহারে রাতভর প্রশান্তিপর্ন নিদ্রা হয়।
সতর্কতা :

গর্ভাবস্থায় ও দুই বছরের কম বয়সের বাচ্চাদের কালোজিরার তেল সেবন করা উচিত নয়। তবে বাহ্যিক ভাবে ব্যবহার করা যাবে।

বিঃ দ্রঃ

কালোজিরার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা আশ্চর্যজনক ভাবে অতুলনীয়, আর তা কালোজিরার রস/তেলের মধ্যেই বিদ্যমান। ফলে কালোজিরার তেল ব্যবহার ওসেবন শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করে এবং রোগ মুক্ত রাখে। ইহাইরাসুল (সঃ) এর পবিত্র মমার্থ ।

বেশিদিন বাঁচার জন্য যেভাবে খেতে হবে কালোজিরা

বেশিদিন বাঁচার জন্য যেভাবে খেতে হবে কালোজিরা


কালোজিরা (Nigella Sativa Linn) :এটি মাঝারী জাতীয় মৌসুমী গাছ, একবার ফুল ও ফল হয়। স্ত্রী, পুরুষ দুই ধরনের ফুল হয়, রং সাধারণত হয় নীলচে সাদা (জাত বিশেষে হলুদাভাব), পাঁচটি পাঁপড়ি বিশিষ্ট। কিনারায় একটা বাড়তি অংশ থাকে। তিন-কোন আকৃতির কালো রং এর বীজ হয়। গোলাকার ফল হয় এবং প্রতিটি ফলে ২০-২৫ টি বীজ থাকে। আয়ুর্বেদীয়, ইউনানী, কবিরাজী ও লোজক চিকিৎসায় ব্যবহার হয়।
কালোজিরার উপকারি উপাদান :এর মধ্যে রয়েছে ফসফেট, লৌহ, ফসফরাস, কার্বো-হাইড্রেট ছাড়াও জীবণু নাশক বিভিন্ন উপাদান সমূহ। এতে রয়েছে ক্যান্সার প্রতিরোধক কেরোটিন ও শক্তিশালী হর্মোন, প্রস্রাব সংক্রান্ত বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধকারী উপাদান, পাচক এনজাইম ও অম্লনাশক উপাদান এবং অম্লরোগের প্রতিষেধক।

বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে কালো জিরার আরো কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা:

বিজ্ঞানের দৃষ্টিতে কালো জিরার আরো কিছু স্বাস্থ্য উপকারিতা:

কালো জিরাকে সব রোগের ওষুধ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। অন্যান্য সব ভেষজের মতো কালিজিরা নিয়েও গবেষণা কম হয়নি। ১৯৬০ সালে মিসরের গবেষকরা নিশ্চিত হন যে, কালো জিরায় বিদ্যমান নাইজেলনের কারণে হাঁপানি উপশম হয়। জার্মানি গবেষকরা বলেন, কালো জিরার অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি-মাইকোটিক প্রভাব রয়েছে। এটি বোনম্যারো ও প্রতিরক্ষা কোষগুলোকে উত্তেজিত করে এবং ইন্টারফেরন তৈরি বাড়িয়ে দেয়। আমেরিকার গবেষকরা প্রথম কালো জিরার টিউমারবিরোধী প্রভাব সম্পর্কে মতামত দেন। শরীরে ক্যান্সার উত্পািদনকারী ফ্রি-রেডিক্যাল অপসারিত করতে পারে কালিজিরা। মোটকথা, কালো জিরা সব ধরনের রোগের বিরুদ্ধে তুলনাহীন। আসুন জেনে নিই কালিজিরার এমন কিছু ব্যবহার, যেগুলো একেবারেই অপ্রচলিত।

মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের আরোগ্য রয়েছে কালো জিরায় – দেখুন ব্যবহার পদ্ধতি

মৃত্যু ব্যতীত সকল রোগের আরোগ্য রয়েছে কালো জিরায় – দেখুন ব্যবহার পদ্ধতি

প্রাচীনকাল থেকে কালোজিরা মানবদেহের নানা রোগের প্রতিষেধক এবং প্রতিরোধক হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। প্রায় ১৪শ’ বছর আগে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছিলেন, ‘কালোজিরা রোগ নিরাময়ের এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তোমরা কালোজিরা ব্যবহার কর, নিশ্চয়ই সাম ব্যতীত সকল রোগের নিরাময় ক্ষমতা এর মধ্যে নিহিত রয়েছে।’ আর সাম হলো মৃত্যু। সে জন্য যুগ যুগ ধরে পয়গম্বরীয় ওষুধ হিসেবে সুনাম অর্জন করে আসছে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কালোজিরা

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কালোজিরা

কালোজিরা মানব স্বাস্থ্যের জন্য বেশ উপকারী। এতে আছে ফসফেট, আয়রন, ফসফরাস। কালোজিরা আমাদেও দেহকে রক্ষা করে অনেক ধরনের রোগের হাত থেকে। এটি ডায়াবেটিক রোগীদের রক্তের গ্লুকোজ কমিয়ে দেয়। এতে করে কালোজিরা ডায়বেটিক নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে। এটি দেহের কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণ করে উচ্চরক্ত চাপ হ্রাস করে এবং শরীরে রক্ত চাপের স্বাভাবিক মাত্রা বজায় রাখে। সেই সঙ্গে এটি নিম্ন রক্তচাপকে বৃদ্ধি করে স্বাভাবিক করতে সাহায্য করে। নতুন গবেষণায় জানা গেছে, কালোজিরা খেলে আমাদের দেহে রক্ত সঞ্চালন ঠিকমতো হয়। কালোজিরা হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা উপশম করে।

রোগ প্রতিরোধে কালোজিরা

রোগ প্রতিরোধে কালোজিরা


আজ থেকে প্রায় ১৪শ’ বছর আগে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছিলেন, ‘কালোজিরা রোগ নিরাময়ের এক গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তোমরা কালোজিরা ব্যবহার কর, নিশ্চয়ই সাম ব্যতীত সকল রোগের নিরাময় ক্ষমতা এর মধ্যে নিহিত রয়েছে।’ আর সাম হলো মৃত্যু।

সে জন্য যুগ যুগ ধরে পয়গম্বরীয় ওষুধ হিসেবে সুনাম অর্জন করে আসছে কালোজিরা। প্রাচীনকাল থেকে এ কালোজিরা মানবদেহের নানা রোগের প্রতিষেধক এবং প্রতিরোধক হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে।

‘কালোজিরা দেহের প্রাণশক্তি বাড়ায় এবং ক্লান্তি দূর করে।’ কালোজিরা তে প্রায় শতাধিক পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এর প্রধান উপাদানের মধ্যে প্রোটিন ২১ শতাংশ, শর্করা ৩৮ শতাংশ, স্নেহ ৩৫ শতাংশ। এ ছাড়াও রয়েছে ভিটামিন ও খনিজ পদার্থ।

কালোজিরা ভর্তা

কালোজিরা ভর্তা


উপাদানঃ
কালোজিরা আধা কাপ রসুন কোয়া ২ টা পেঁয়াজ মাঝারি আকারের ২ টা কাঁচা মরিচ ৩ টা লবন স্বাদমত ।

প্রস্তুত প্রণালীঃ
কালোজিরা শুকনো তাওয়ায় ভেজে নিন | এবার রসুন গোটা কোয়া ভেজে নিয়ে ৪ টুকরো করে তাওয়ায় ভেজে নিন | একইভাবে কাঁচা মরিচ ভেজে পাটায় কালোজিরা বেটে তার মধ্যে একে একে সব মিলিয়ে লবন দিয়ে খুব ভালো করে মাখিয়ে গরম ভায়ের সাথে পরিবেশন করুন ।

ভালোবাসা দিবসে তাহসানের নতুন চমক

ভালোবাসা দিবসে তাহসানের নতুন চমক


গানের শিল্পী হিসেবে বহু আগেই তারকাখ্যাতি রয়েছে তাহসানের। সে সঙ্গে অভিনয় তো রয়েছেই। নিয়মিত গানের সঙ্গে থাকলেও অভিনয়টা বিশেষ দিন উপলক্ষেই করেন এ তারকা। বিশেষ করে ভালোবাসা দিবস ও ঈদেই তাকে নাটকে দেখা যায়। সেই ধারাবাহিকতায় আগামী ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে তাহসান নিয়ে আসছেন বিশেষ চমক। তার দর্শক ভক্তের জন্য এই দিনটিতে গান-নাটকের সঙ্গে থাকছে তিনটি স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্রও। এগুলো হলো অনিমেষ আইচের ‘বরষা’, মাবরুর রশিদ বান্নার ‘বিভেদ’ আর ভিকি জাহেদের ‘দুরবীন’। এর মধ্যে ‘দুরবীন’-এ থাকছে তাহসানের গাওয়া নতুন গান। সমপ্রতি এসব স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্রের কাজ শেষ করেছেন তিনি। এগুলো ভালোবাসা দিবসে অনলাইনে মুক্তি পাবে। নাটকে বরাবর দেখা গেলেও স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্রে এবারই প্রথম দেখা যাবে তাহসানকে। বলা চলে এই ভালোবাসা দিবসে ভক্তদের জন্য ভিন্নমাত্রার চমকই নিয়ে আসছেন তিনি।

প্রসঙ্গক্রমে তাহসান বলেন, অভিনয়ের জায়গাটিতে একটু বৈচিত্র্য রেখে কাজ করতে চাই। আর সেটা স্বল্পদৈর্ঘ্যের চলচ্চিত্রেও। এ কাজগুলোর মধ্যে বেশ ভিন্নতা ছিল বলেই করেছি। এগুলোকে দর্শকের জন্য বিশেষ উপহারই বলবো। আশা করছি সবার ভালো লাগবে। এদিকে সমপ্রতি তাহসান ‘আমার গল্পে তুমি’ নাটকের শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন। মিজানুর রহমান আরিয়ানের পরিচালনায় এতে তার বিপরীতে রয়েছেন মিথিলা ও ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর। এনটিভির জন্য নির্মাণ হওয়া এই নাটকের একটি গানেও পাওয়া যাবে তাহসানের কণ্ঠ। আরিয়ানের কথা ও সাজিদ সরকারের সুরে এতে তাহসানের সহশিল্পী মিথিলা। অন্যদিকে ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে আশফাক নিপুনের পরিচালনায় একটি নাটকে তাহসানের অভিনয় করার কথা রয়েছে। এতেও তার সহশিল্পী হিসেবে থাকবেন ঊর্মিলা। এছাড়া
আরেকটি নাটকে কাজ করার ব্যাপারে কথা চলছে বলেই জানান এ সংগীত তারকা। সব মিলিয়ে আসছে ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে তার অভিনীত ২-৩টি নাটক পর্দায় দেখতে যাচ্ছেন তাহসান ভক্তরা।

গোপালগঞ্জে গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা

গোপালগঞ্জে গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা


গোপালগঞ্জের কাশিয়ানীতে রত্না বেগম (২৫)  নামে এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। নিহত রত্না বেগম মফিকুর শেখের স্ত্রী। তার ১১ মাস বয়সের একটি  সন্তান রয়েছে।

সোমবার রাত ৯টার দিকে কাশিয়ানী উপজেলার বরাশুর গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

কাশিয়ানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আলি নুর এ তথ্য জানান।

স্থানীয়রা জানায়, হত্যাকাণ্ডের সময় বাড়িতে ওই শিশু সন্তান ছাড়া আর কেউ ছিল না। রাতে স্বামী বাড়ি ফিরে এসে এ ঘটনা দেখতে পেয়ে স্থানীয়দের খবর দেন। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে।

বাংলাদেশি ছবিতে নিয়মিত হতে চাই : মৌমিতা

বাংলাদেশি ছবিতে নিয়মিত হতে চাই : মৌমিতা


পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনার মেয়ে। কাজ করেছেন সেখানকার নাটকে। অনেকদিন ধরে থিয়েটারের সঙ্গেও যুক্ত আছেন। শিখেছেন অভিনয়, নাচ। আছে গ্ল্যামার, মিষ্টি হাসি আর মায়াবী চাহনির অদ্ভূত গুণ। সম্প্রতি বাংলাদেশি চলচ্চিত্র নির্মাতা অনন্য মামুনের পরিচালনায় ‘বন্ধন’ ছবিতে শুটিং শুরু করেছেন তিনি। বড় পর্দায় এটাই তার প্রথম কাজ। অনেক স্বপ্ন নিয়ে শোবিজে যাত্রা শুরু করা মেয়েটি এখন দুই বাংলাতেই চিত্রনায়িকা হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে যাচ্ছেন। বলছি মৌমিতার কথা। বর্তমানে তিনি রয়েছেন বাংলাদেশেই। তার সঙ্গে কথা হলো সাম্প্রতিক ব্যস্ততা ও একান্ত নানা বিষয়ে। লিখেছেন লিমন আহমেদ

জাগো নিউজ : কেমন আছেন?
মৌমিতা : খুব ভালো। টানা প্রায় পনেরো দিন নেপালে ছিলাম। সেখানে প্রচুর শীতের মধ্যে ‘বন্ধন’ ছবির শুটিং করেছি। এবার একটু বিশ্রাম নিচ্ছি। রয়েছি ঢাকাতেই। কিছু কাজ শেষ করে আগামী সপ্তাহে কলকাতায় ফিরে যাবো।

জাগো নিউজ : বাংলাদেশি ছবিতে কাজ করা মানে এখানকার মানুষ, খাদ্যাভ্যাস, সংস্কৃতির সঙ্গে মেশা। কেমন লাগছে সবকিছু?
মৌমিতা : এক কথায় অসাধারণ। কলকাতার সঙ্গে ঢাকার পার্থক্য খুবই কম। ভাষা, খাদ্যাভ্যাসও একইরকম প্রায়। কোনো সমস্যা হচ্ছে না। সবাই একটি টিম হয়ে ভালো ছবির জন্য কাজ করছি। এখানে অনেক হেল্পফুল সবাই।

জাগো নিউজ : ‘বন্ধন’ ছবিতে কীভাবে যুক্ত হলেন?
মৌমিতা : এই ছবির পরিচালক অনন্য মামুন ভাইকে আমি আগে থেকেই চিনতাম। উনার সাথে মিউজিক ভিডিওতে কাজ করেছি, সেগুলো এখনও প্রকাশ হয়নি। তারপর একদিন মামুন ভাই ‘বন্ধন’ ছবিতে কাজ করার জন্য আমাকে বললেন। গল্প শোনালেন। শুনে গল্পটা মনে ধরে যায়। ব্যাস, রাজি হয়ে গেলাম।

জাগো নিউজ : ছবিতে আপনার চরিত্রটি কেমন?
মৌমিতা : বেশ চমৎকার এবং গুরুত্বপূর্ণ। আমি একটা মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে। খুব মিষ্টি আর হাসিখুশি স্বভাবের একটা মেয়ে। মা ছাড়া আর কেউ নেই মেয়েটির। এরমধ্যে একটা কারণে সে অনেক রুক্ষ এবং ইন্ট্রোভার্ট হয়ে যায়। এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আমার বন্ধুরা অনেক সাহায্য করে।

জাগো নিউজ : ছবিটিতে আপনার নায়ক কে?
মৌমিতা : এখানে তিনটি জুটি দেখা যাবে। শিপন মিত্র-এমি, সাঞ্জু জন-স্পর্শিয়া এবং আমি ও চ্যানেল আই-ফেয়ার এন্ড লাভলী মেন হ্যান্ডসাম খ্যাত তন্ময়। ও খুব মিশুক আর মেধাবী। আমরা দুজনেই নতুন। চেষ্টা করছি ভালো কিছু করতে।




জাগো নিউজ : ঢাকাই ছবিতে অনেক নায়িকা আছেন। এখানে প্রতিযোগিতাও অনেক বেশি। আর ইন্ডাস্ট্রিটাও আপনার জন্য নতুন। এখানে ছবি করাটা খুব বেশি চ্যালেঞ্জিং নয় কী?
মৌমিতা : আমি এভাবে ভেবে দেখিনি কখনো। আমি প্রথমবারের মতো চলচ্চিত্রে অভিনয় করছি। ইন্ডাস্ট্রিও আমার কাছে নতুন। সেটা যেখানেরই হোক। আর এপার-ওপার দুই বাংলাতেই ভাষা ও জীবন যাপনটা একই প্রায়। আমার মনে হয় না কলকাতার বলে ঢাকার দর্শকরা আমাকে এড়িয়ে যাবেন। তাছাড়া আজকাল দুই বাংলার শিল্পীরাই একে অন্যের দেশে গিয়ে ছবি করছেন এবং ভালো করছেন। একটা সম্মিলিত উন্নতির যে চেষ্টা চলছে বাংলা সিনেমার, সেখানে আমিও শামিল হতে পারছি এটাই আনন্দের। সুযোগ হলে বাংলাদেশের ছবিতে নিয়মিত হবো।

জাগো নিউজ : এর আগে কলকাতায় শোবিজে যাত্রাটা কিভাবে? নাটক নাকি মডেলিং?
মৌমিতা : আমি সিরিয়াল করেছি। তারও আগে মডেলিং করতাম একটা সময়। কিন্তু এখন আর করিনা। আমি থিয়েটারের সাথে যুক্ত আছি শৈশব থেকে। চেষ্টা করেছি অভিনয় শিখে আসতে। আর মডেলিং দিয়ে যাত্রা করলেও আমি সবসময় অভিনয় করতে চেয়েছিলাম। বিশেষ করে ফিল্মে। তাই নিজেকে তৈরি করার জন্য অভিনয় ওয়ার্কশপে জয়েন্ট করি। আর নাচ আমি অনেক পছন্দ করি। স্কুলের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এবং অনেক প্রোগ্রামে নাচে অংশ নিতাম। ছোটবেলা থেকে নাচ শিখতাম। বেশ কিছুদিন আগে ভাবলাম ভারতনাট্যম শিখবো। ভর্তি হয়ে গেলাম। একমাস শিখে পরে আর সময় দিতে পারিনি। তবে যা করেছি সবই নিজেকে অভিনেত্রী হিসেবে তৈরি করতে। কতোটা কী করতে পেরেছি সেটির প্রমাণ মিলবে বন্ধন হলে নামার পর।  

জাগো নিউজ : আপনার জন্ম ও বেড়ে ওঠা কী কলকতাতেই?
মৌমিতা : না। আমার জন্ম মূল কলকাতা শহরে নয়। বাদুড়িয়াতে। এটা উত্তর চব্বিশ পরগনায় অবস্থিত। ওখানেই আমার সবাই থাকে। সেখানেই আমি পড়াশোনা করেছি, বড় হয়েছি। আর আমি কলকাতাতে থাকি কাজের জন্য।




জাগো নিউজ : আপনার পরিবার সম্পর্কে কিছু বলবেন....
মৌমিতা : আমি ছোট থেকেই অনেক আদরে বড় হয়েছি। আমার বাবা প্রবীর হরি আর কাকা দুবাই থাকেন। ছোটবেলা থেকে অনেক কম সময় কাছে পেয়েছি তাদের। তবে যখনই দেখা হয় রাজকন্যার মতো ভালোবাসেন। এছাড়াও একান্নবর্তী পরিবারে আছেন আমার মা মিঠু হরি, ছোট মা, ঠাকুমা আর আমার ছোট বোন ঈশিতা। সবাইকে নিয়ে আনন্দের বেঁচে থাকা।

জাগো নিউজ : শেষবেলায় ঢাকাই ছবির ইন্ডাস্ট্রিতে আপনাকে স্বাগতম এবং অভিনন্দন। অভিষেক সফল হোক রুপালি পর্দায়।
মৌমিতা : অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে এবং জাগোনিউজকে। সবাই আমার জন্য শুভকামনা রাখবেন।